ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হামাস প্রধান সিনওয়ারের নিহত হওয়ার গুঞ্জন, খতিয়ে দেখছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
হামাস প্রধান  সিনওয়ারের নিহত হওয়ার গুঞ্জন, খতিয়ে দেখছে ইসরায়েল

গাজায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর সম্ভাব্যতা যাচাই করছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।

খবর বিবিসির।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, নিহত তিনজনের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে ভবনে তাদের হত্যা করা হয়, সেখানে জিম্মিদের উপস্থিতির কোনো চিহ্ন ছিল না।  

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সিনওয়ারকে প্রধান ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়। সূত্রগুলো বিবিসিকে বলছে,  হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিহত হওয়ার বিষয়ে ধারণা ক্রমশ বাড়ছে।  

ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা জানতে পেরেছেন, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার সম্ভবত নিহত হয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এমনটি বলেছেন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা ইসরায়েলের চ্যানেল ১২- কে বলেছেন, সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।
 
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলছেন, নিহত ব্যক্তি হামাস নেতা কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা চলছে। ইসরায়েলের কাছে সিনওয়ারের ডিএনএ ও অন্যান্য বায়োমেট্রিক উপাত্ত থাকতে পারে। তিনি ১৯৮৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলে বন্দি ছিলেন।

তেহরানে পূর্বসূরি ইসমাইল হানিয়া হত্যার শিকার হলে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে আগস্টে হামাসের সার্বিক প্রধান মনোনীত করা হয়। এর আগে তিনি গাজায় গোষ্ঠীটির নেতার দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি এ দায়িত্ব নেন।

সিনওয়ার ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা হামাস নেতা। দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর বিশ্বাস, তিনি ৭ অক্টোবরের  ইসরায়েলের হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী। ওই হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ এর বেশি লোকের প্রাণ যায়।

সিনওয়ারের জন্ম ১৯৬২ সালে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরে। আশির দশকের শেষ দিকে সিনওয়ার হামাস সিকিউরিটি সার্ভিস মাজদ প্রতিষ্ঠা করেন।

তার জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে ইসরায়েলি জেলে। ১৯৮৮ সালে তৃতীয়বার গ্রেপ্তারের পর তার চারটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

২০১১ সালে বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরায়েল এক হাজার ২৭ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি আরব বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। সিনওয়ার তাদের মধ্যে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
আরএইচ

  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।