যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বসেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন।
এত নির্বাহী আদেশের মধ্যে কোনগুলো দ্রুতই আইনে পরিণত হবে, তা জানাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ ডাবলিনের ক্লিনটন ইন্সটিটিউটের যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক স্কট লুকাস।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এসব নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রক্রিয়ায় আছে কংগ্রেস, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা। যেসব বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই, সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবেই আইন হয়ে গেছে।
লুকাস বলেন, অভিবাসনের বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োগ হয়েছে, কিন্তু এটি আইনি দিক থেকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়বে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করতে চান প্রেসিডেন্ট, কিন্তু আমেরিকায় যারা জন্ম নেন, তারা আমেরিকান নাগরিক, সংবিধানে এটিই বলা আছে।
তিনি বলেন, ফলে এটি বাতিল করে দেওয়ার মতো আইনি অধিকার কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আছে? অন্তত এই ইস্যুতে তিনি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ১২ থেকে ১৩ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনকে নির্দেশ দিতে পারেন। লুকাস বলেন, কিন্তু আমি মনে করি না এটি খুব সহজ হবে। এখানে কোটি কোটি ডলার ব্যয়ের প্রশ্ন আছে, এ নিয়ে বেশ শোরগোলও তৈরি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
আরএইচ