মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তার প্রথম সরকারি বিদেশ সফর শুরু করেছেন পানামা দিয়ে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পানামা খাল দখলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিতে কিছুটা বিস্মিত যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র দেশটি।
এই সফরে আঞ্চলিক পাঁচটি দেশে যাবেন রুবিও। তিনি পানামার কৌশলগত জলপথ পরিদর্শন করবেন এবং রোববার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এক কলামে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম বিদেশ সফর এই অঞ্চলের মধ্যেই সীমিত রাখা কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।
পানামা খাল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ। যুক্তরাষ্ট্রের মোট কনটেইনার পরিবহনের ৪০ শতাংশ এ পথ দিয়েই যায়।
এই খাল ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র পানামার কাছে হস্তান্তর করেছিল। ট্রাম্পের দাবি, চীন আশপাশের বন্দরগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে খালের ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
গত মাসে অভিষেক ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল ফিরে পাবে। গেল শুক্রবারও তিনি তার অবস্থান থেকে সরেননি। পানামা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা ইতিমধ্যে অনেক কিছু করার প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু আমরা মনে করি, এটি ফিরিয়ে নেওয়া যথাযথ হবে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চীনা ভাষার সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলছে পানামা। খালের বিষয়ে চুক্তি লঙ্ঘন হয়েছে, এমনটি ঢাকতেই তারা এমনটি করেছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দায়িত্বে থাকা ভদ্রলোকের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছেন মার্কো রুবিও।
রুবিওর এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং প্রায় সব মার্কিন বিদেশি সহায়তা স্থগিত করেছেন— যা আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির ইঙ্গিত দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
আরএইচ