লোহিত সাগর উপকূলে একটি নৌঘাঁটি স্থাপন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এ ব্যাপারে আফ্রিকার দেশ সুদানের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছেছে রাশিয়া।
সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইউসুফ এই জানিয়েছেন, দুদেশের মধ্যে এই বিষয়ে গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়ার সনহে নৌঘাঁটি স্থাপনের বিষয়ে সুদান সম্পূর্ণ একমত। চুক্তিটি শুধু আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আফ্রিকার এই উপকূলে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ফ্রান্সের নৌ উপস্থিতি রয়েছে। এই অঞ্চলটি কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে আলী ইউসুফ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ পাশে দাঁড়িয়ে জানান, সুদান এবং রাশিয়া রুশ নৌঘাঁটি স্থাপনের বিষয়ে একমত হয়েছে। বিষয়টি খুবই সহজ... আমরা সব দিক নিয়ে একমত হয়েছি।
তবে এখনও চুক্তির বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, এবং ল্যাভরভ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই চুক্তিটি প্রথমে ২০১৯ সালে আল-বশিরের শাসনামলে আলোচনা করা হয় এবং ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রাথমিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে সুদানে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
সুদানের চলমান গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সেনাবাহিনী এবং প্যারামিলিটারি বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে পোর্ট সুদানের কাছে একটি নৌঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া ২৫ বছরের জন্য একটি নৌ লজিস্টিক্স হাব তৈরি করবে, যেখানে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন যুদ্ধজাহাজও থাকবে এবং প্রায় ৩০০ জন কর্মী নিয়োজিত হবে।
লোহিত সাগর একটি কৌশলগত রুট, যা বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে প্রতিরক্ষা এবং ভূরাজনৈতিক দিক থেকে একটি হটস্পট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
এমএম