২০২৪ সালে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় নয় হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে।
টানা পাঁচ বছরের মতো প্রাণহানির এই সংখ্যা নতুন এক রেকর্ড গড়েছে। ২০২০ সালের পর থেকে অভিবাসনপথে প্রাণহানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, ২০২৪ সালে অভিবাসনপথ পাড়ি দিতে গিয়ে আট হাজার ৯৩৮ প্রাণহানি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, অনেক মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্তই হয় না।
আইওএমের মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রকল্পের সমন্বয়ক জুলিয়া ব্ল্যাক বলেন, প্রাণহানি বাড়ছে, যা ভয়াবহ। তবে এর চেয়েও মর্মান্তিক বিষয় হলো— প্রতি বছর হাজারো মৃত অভিবাসীর পরিচয় অজানাই থেকে যায়।
আইওএমের অপারেশনসবিষয়ক উপ-মহাপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসনপথে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে প্রাণহানি রোধে আমাদের একটি আন্তর্জাতিক ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, প্রাণহানির প্রতিটি সংখ্যার পেছনে রয়েছে একজন মানুষ, যার মৃত্যু তার পরিবার ও স্বজনদের জন্য এক গভীর শোকের কারণ।
নতুন রেকর্ড অনুযায়ী, ইউরোপে অন্তত ২৩৩ জন এবং কলম্বিয়া ও পানামার মাঝের দারিয়েন গ্যাপে ১৭৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, অভিবাসনপ্রত্যাশী হলেন তারা, যারা স্বেচ্ছায় বা বাধ্য হয়ে অল্প সময়ের জন্য বা দীর্ঘমেয়াদে নিজের বাসস্থান ছাড়েন। অনেকে যুদ্ধ ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে আশ্রয় খোঁজেন।
রেকর্ড সংখ্যক এই প্রাণহানির খবর এমন এক সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমে যাওয়ায় জেনেভাভিত্তিক আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বিভিন্ন অঞ্চলে বহু জীবনরক্ষাকারী কর্মসূচি বন্ধ করার পাশাপাশি শত শত কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে লাখো অভিবাসী ও শরণার্থী সংকটে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
আরএইচ