মিয়ানমারে অনুভূত ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে আমরা ধারণা করছি যে মিয়ানমারের বিস্তৃত অংশজুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ’
তবে এখন পর্যন্ত ১৪৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। এখন পর্যন্ত ৭৩২ জন আহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেছেন মিন অং হ্লাইং। তিনি জানান, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজধানী নেপিডোতে। সেখানে অন্তত ৯৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া, মান্দালয়ে ৩০ জন এবং সাগায় ১৮ জন মারা গেছেন।
নেপিডো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের আঘাতে সেখানে বিভিন্ন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়েছে। ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। নেপিডোসহ বাকি ৫টি অঞ্চল হলো অঞ্চলগুলো হলো সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, পূর্ব শান।
এদিকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতান সিনাওয়াত্রাও রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ব্যাংককে ভবন ধসে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে নিহতের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ, ধসে পড়া ভবনের ৮১ জন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৫
এসএএইচ