ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রসঙ্গ ফিলিস্তিন: পণ্য বয়কটে কার লাভ কার ক্ষতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৫
প্রসঙ্গ ফিলিস্তিন: পণ্য বয়কটে কার লাভ কার ক্ষতি গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ। ছবি: ডি এইচ বাদল

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে চলছে পণ্য বয়কটের ডাক। অনেক মুসলিমপ্রধান দেশসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখন ইসরায়েলকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে এমন কোম্পানির পণ্য বর্জন করছে।

এই বয়কটের আওতায় পড়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, যা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বা প্রত্যক্ষ সহায়তার অভিযোগে জনরোষের মুখে পড়েছে।  

এই বয়কটে আদৌ ইসরায়েলের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে কি না, বা তাদের ওপর চাপ তৈরি করা যাচ্ছে কি না, কিংবা এর কী প্রভাব পড়ছে উৎপাদনকারী দেশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

পণ্য বয়কট এখন শুধু সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রতিবাদের মাধ্যম নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী একটি কার্যকর কৌশল। কোনো একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যখন জনসাধারণ সচেতনভাবে নির্দিষ্ট দেশ, কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের পণ্য বর্জন করে, তখন তার প্রভাব পড়ে বিভিন্ন স্তরে—ব্যবসা, কূটনীতি ও জনজীবনে। অর্থনীতিবিদেরা লাভক্ষতির নানা হিসাব কষলেও বয়কট আন্দোলনকারীরা এটিকে দেখেন মানবিক জায়গা থেকে। তারা মনে করেন, নিজেরা খানিকটা ভুগলেও দখলদার ইসরায়েলের ওপর যথাসাধ্য প্রভাব ফেলাই বয়কট উদ্যোগের উদ্দেশ্য।

পণ্য বয়কটের ডাক নতুন কোনো বিষয় নয়। এই বয়কটের কারণ কখনো রাজনৈতিক, আবার কখনো কখনো ধর্মীয়। ২০ বছর আগেও ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় আরব দেশগুলোতে আমেরিকান পণ্য বয়কট করা হয়েছিল।

গাজা যুদ্ধের আগে সর্বশেষ যে বয়কট প্রচারাভিযান আলোচিত হয়েছে সেটি ছিল সুইডেন ও ডেনমার্কের বিরুদ্ধে। ওই দেশ দুটি কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিলে আল-আজহারের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এর প্রতিক্রিয়ায় সুইডিশ এবং ড্যানিশ পণ্য বয়কটের আহ্বান জানায়।

বিভিন্ন ফাস্টফুড, পানীয়, প্রসাধনীর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে নানা সময়ে বয়কট ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তালিকা, যাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে—যদিও এসব সংযোগ অনেক সময় স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয় না।  

এই প্রচেষ্টা আসলে ২০০৫ সাল থেকে চালু থাকা বৃহত্তর ‘বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংশনস’ (বিডিএস) আন্দোলনেরই একটি অংশ, যার লক্ষ্য ইসরায়েল-সমর্থিত ব্র্যান্ডগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রায় ১৭০টি ফিলিস্তিনি নাগরিক সমাজ সংস্থা এটি চালু করে। অহিংস উপায়ে এই চাপ দেওয়া হয় যাতে ইসরায়েল সমস্ত আরব ভূমির দখল বন্ধ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে। এর সঙ্গে ইসরায়েল যেন ওই ভূখণ্ডে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি-আরবদের সমান অধিকার দেয় এবং তাদের মৌলিক অধিকারকে সম্মান জানায়।

বয়কটের মুখে পড়েছে যেসব ব্র্যান্ড

ইসরায়েলি সেনাদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ম্যাকডোনাল্ডসের বিরুদ্ধে বয়কট শুরু হয় যুদ্ধ শুরুর পরপরই। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে কোম্পানিটির বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। এ অঞ্চলে ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বরে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, কিন্তু হয় মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।

পরে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিতর্ক থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে এবং গাজার জন্য ৩০ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা করে। ম্যাকডোনাল্ডসের প্রধান নির্বাহী ক্রিস কেম্পচিনস্কি তখন বলেছিলেন, এই যুদ্ধ এক মানবিক ট্র্যাজেডি, যা আমাদের মতো ব্র্যান্ডের ওপর প্রভাব ফেলছে। যুদ্ধ চলাকালে আমরা বড় কোনো পরিবর্তনের আশা করছি না।

গাজা যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বখ্যাত কফি চেইন স্টারবাকসের ব্যবসাতেও। গত বছরের শুরুর দিকে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী ল্যাক্সম্যান নারাসিমহান জানান, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে ট্রাফিক ও বিক্রিতে বড় ধরনের পতন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও বিক্রি কমেছে, যেখানে প্রতিবাদকারীরা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে।

বিতর্কের শুরুটা হয়, যখন স্টারবাকস ওয়ার্কার্স ইউনাইটেড গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি পোস্ট দেয় এবং পরে মুছে ফেলে। স্টারবাকস পরে ওই ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে এবং দাবি করে যে পোস্টটি হামাসকে সমর্থন জানিয়ে দেওয়া। ইউনিয়ন অবশ্য পাল্টা মামলা করে।

কোকা-কোলা অনেক আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে জড়ানো এক মার্কিন ব্র্যান্ড। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলে কারখানা চালু করায় এক সময় আরব দেশগুলো কোকা-কোলা বয়কট করেছিল। এখন আবার গাজা যুদ্ধ ঘিরে কোকা-কোলার নাম ঘুরছে বয়কটের তালিকায়।

তুরস্কের পার্লামেন্ট তাদের ভবনে বেশ আগেই কোকা-কোলা বিক্রি নিষিদ্ধ করে। দেশটিতে ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে কোকের বিক্রি কমে যায় ২২ শতাংশ। আর মিশরে কোকা-কোলা ও অন্যান্য আমেরিকান কোমল পানীয় বয়কটের ফলে পুরোনো দেশীয় ব্র্যান্ড স্পাইরো স্প্যাথিস আবারও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

মধ্যপ্রাচ্যে গাজার যুদ্ধের পর থেকে আরও এক আমেরিকান ব্র্যান্ড ডোমিনো’স পিজ্জা সমালোচনার মুখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয় যে, কোম্পানিটি ইসরায়েলি সৈন্যদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করেছে, যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

এশিয়ায়, বিশেষ করে মালয়েশিয়ায়, ডোমিনো’সের বিক্রি ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে (যুদ্ধ ওই সময়েই শুরু হয়) ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে যায়। কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মালয়েশীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের মিত্র হিসেবে দেখে এবং এর ফলে কোম্পানির প্রতি সমর্থন কমেছে।

গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে বয়কটের তালিকায় রয়েছে ইসরায়েলি কিছু কোম্পানির খেজুরও। বিডিএস আন্দোলন ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানায়, তারা যেন খেজুরের প্যাকেটে থাকা লেবেল ভালোভাবে যাচাই করেন এবং ইসরায়েল বা এর দখল করা পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতিতে উৎপাদিত বা প্যাকেট করা খেজুর না কেনেন।

প্ল্যাটফর্মটি বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের খেজুর এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, হাদিক্লাইম, এর ব্র্যান্ড কিং সলোমন, জর্ডান রিভার, জর্ডান রিভার বায়ো-টপ এবং মেহাদ্রিন, এমটেক্স, এডম, কারমেল অ্যাগ্রেক্সকো ও আরাভা।

গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় কেএফসি বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। এর ফলস্বরূপ, দেশটির কিছু কেএফসি আউটলেট সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।  

সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের সংহতি জানিয়ে হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে একটি পক্ষ বাংলাদেশেও কেএফসি ও ডোমিনো’সের আউটলেটে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ

অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈশ্বিক কোম্পানির পণ্য বয়কটের ফলে অনেক সময় কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এর প্রকৃত প্রভাব পৃষ্ঠপোষক দেশের অর্থনীতি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপরও পড়ে।

ইজিপশিয়ান ফোরাম ফর ইকোনমিক স্টাডিজের প্রধান রাশাদ আবদো বিশ্লেষণ করেন, মূল কোম্পানির শাখাগুলোর পণ্য বয়কট হলে মূল কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে স্থানীয় মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্থানীয় ব্যবসায়ীই ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই ক্ষতি তাদের কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের ওপরও পড়তে পারে, যার ফলে দেশের অর্থনীতি প্রভাবিত হতে পারে।

তবে, বয়কটের কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। মিশরের মতো দেশে আমেরিকান পণ্যের বয়কটের ফলে স্থানীয় কোম্পানির পণ্যের চাহিদা বেড়েছে এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। তবে, যদি স্থানীয় পণ্য প্রতিযোগিতামূলক না হয় কিংবা তাদের মান ভালো না থাকে, তবে সেগুলো বাজারে টিকতে পারে না।

আবদো বলেন, স্থানীয় বিনিয়োগকারীর পক্ষে কেবলমাত্র তখনই লাভবান হওয়া সম্ভব, যদি তারা তাদের পণ্য এবং সেবার মান উন্নত করে এবং ভোক্তাদের আস্থা অর্জনের জন্য লাভের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে তারা যদি দাম বাড়ানোর সুযোগকে কাজে না লাগায় এবং বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের চেষ্টা না করে।

জর্ডানের অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ ওয়াজদি মাখামরেহ মনে করেন, আন্তর্জাতিক কোম্পানির পণ্য বয়কট স্থানীয় কোম্পানির বিক্রি ও সম্প্রসারণে সহায়ক হতে পারে, তবে শর্ত হলো স্থানীয় পণ্যের গুণমান প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এভাবে, স্থানীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ওয়াগদি মাখামরার ধারণা, যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বয়কট চলতে থাকে, তবে কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানি সংশ্লিষ্ট দেশে তাদের বিনিয়োগ বাতিল করতে পারে বা অন্তত তাদের পণ্য সরবরাহ কমাতে পারে।

একটি শক্তিশালী বয়কট আন্দোলনের ফলে বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। বয়কট ভবিষ্যতের বিদেশি বিনিয়োগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এই ধারণার সঙ্গে একমত নন আবদো।  

‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্দেশ্য হলো বড় বাজারগুলো ধরে রাখা। সেজন্য কিছু কোম্পানি তাদের বিবৃতি প্রকাশ করে বলছে, তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করে না এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে রয়েছে। ’

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেলে কিছু আরব দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ এই বিনিয়োগ তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক এবং কাজের সুযোগ তৈরি করে। বিনিয়োগ কমে গেলে, বয়কট করা দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে।

অর্থনীতি ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ ওয়াগদি মাখামরা বলেন, আরব নাগরিকেরা ইসরায়েলকে সমর্থন করে এমন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অনেক পণ্য ব্যবহার করেন। তাই এসব পণ্য যদি ব্যাপক হারে বয়কট করা না হয়, তবে এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ওপর খুব একটা পড়বে না। কারণ এই কোম্পানিগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন করে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ হলে বয়কটও থেমে গেলে স্থানীয় কোম্পানির পণ্যের চাহিদা আবার কমে যাবে এবং এতে কোম্পানির মালিকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। যেহেতু তারা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন, তাই সেই ঋণ পরিশোধ করা তাদের জন্য কঠিন হবে।

বয়কট সমর্থকেরা মনে করছেন, অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়েও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফিলিস্তিনিদের অবস্থা তুলে ধরা এবং শান্তিপূর্ণভাবে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা। তাদের কাছে বিক্ষোভ এবং মিছিলের মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দেওয়ার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আর বয়কট বিরোধীরা বলছেন, এই প্রচারণার ফলে তাদের দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে এমন সব দেশ, যেগুলো এরইমধ্যে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

বিবিসিআল জাজিরা অবলম্বনে লিখেছেন বাংলানিউজের সিনিয়র নিউজরুম এডিটর রকিবুল সুলভ

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।