যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ১০৪ শতাংশ শুল্কের পাল্টা জবাব হিসেবে এবার সব ধরনের মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর করা হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাল্টা-পাল্টি শুল্কারোপের মধ্য দিয়ে দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে আবারও বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হলো। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও।
বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপকে তারা ‘নিপীড়নমূলক’ বলেই মনে করছে। আর সেই কারণেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে দ্বন্দ্ব সমাধানে তারা এখনো কূটনৈতিক আলোচনার পথে আগ্রহী—এমনটাও জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
বুধবার চীন সরকার একটি ‘বাণিজ্য বিষয়ক শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, শুরু থেকেই চীন চেষ্টা করেছে যেন মার্কিন-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হয়।
শ্বেতপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মতো জটিল ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক, তবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করাও চীনের অগ্রাধিকার।
চীনের মতে, যুক্তরাষ্ট্র যতই পাল্টা শুল্ক আরোপ করুক, তা কখনোই তাদের বাণিজ্য ঘাটতির সমাধান নয়। বরং এভাবে বাড়তি শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব বাণিজ্যের ভারসাম্য, সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে রিপাবলিকান পার্টির এক অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি ইতিবাচকভাবেই কাজ করছে। অনেক দেশই দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কিন্তু এখন সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা এখন প্রতিদিন শুল্ক বাবদ প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৬১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৫
এমজে