ইউক্রেন গত কয়েক মাসের পরিকল্পনায় মঙ্গলবার ক্রিমিয়া সেতুতে হামলা চালিয়েছে। এক্ষেত্রে পানির নিচে ব্যবহারযোগ্য বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।
এসবিইউ জানায়, তারা সেতুর পিলারে এক হাজার ১০০ কেজি ট্রাইনাইট্রোটলুইন (টিএনটি) ব্যবহার করা হয়েছিল। বিস্ফোরণে পিলারের নিচের অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এসবিউ দাবি করেছে, প্রথম বিস্ফোরক ডিভাইসটিতে বিস্ফোরণ ঘটলেও কোনো বেসামরিক হতাহত হননি। এই দাবি তাৎক্ষণিক স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম বলেছে, সেতুটি কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল, পরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে আবার খুলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আবার সতর্ক করে বলেছে সেতুটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর এসেছে যে, সেতুর আশেপাশে আরও বিস্ফোরণ ঘটেছে।
সরকারি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়, সেতুতে এবং তদারকি এলাকায় যারা আছেন, তারা শান্ত থাকুন এবং পরিবহন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মেনে চলুন।
রাশিয়া এখনো হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। রুশ সামরিক ব্লগারদের অনুমান, বিস্ফোরণের বদলে হয়তো পানির নিচে একটি ড্রোন সেতুর প্রতিরোধকটি ভেঙেছে।
এসবিইউ জানায়, তাদের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভাসিল মালিউক নিজেই এই অভিযান তদারকি করেন এবং এর পরিকল্পনা সমন্বয় করেন।
টেলিগ্রাম পোস্টে মালিউকের কথা উদ্ধৃত করা বলা হয়েছে, ইউক্রেন এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালে ক্রিমিয়া সেতুতে হামলা চালিয়েছিল। এখন পানির নিচ দিয়ে হামলা চলছে। তিনি বলেন, অবৈধ কোনো রুশ স্থাপনা আমাদের ভূখণ্ডে থাকতে পারবে না।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ দখল করে নেওয়ার পর সেতুটি নির্মাণ করে। এটি কার্চ সেতু নামেও পরিচিত। ২০১৮ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এটি উদ্বোধন করেন।
ইউক্রেনে ওই সেতুকে রুশ আগ্রাসনের ঘৃণ্য প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। মস্কো সেতুটি রক্ষায় বেশ সতর্ক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
আরএইচ