ঢাকা, শুক্রবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২৭ ফিলিস্তিনি হত্যার পর ত্রাণ কেন্দ্রের রাস্তাকে যুদ্ধাঞ্চল ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:২২, জুন ৪, ২০২৫
২৭ ফিলিস্তিনি হত্যার পর ত্রাণ কেন্দ্রের রাস্তাকে যুদ্ধাঞ্চল ঘোষণা ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, অঞ্চলটির ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বুধবার(৪ জুন) থেকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হবে এবং গাজাবাসীদেরকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যেন তারা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ঘোষণামতে ঐসব এলাকা থেকে দূরে থাকে।

এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে গুলি চালিয়ে অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং ৯০ জনকে আহত করেছে।

 

সর্বশেষ এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে রাফাহর ‘ফ্ল্যাগ রাউন্ডআবাউট’ এলাকায়, যেখানে জিএইচএফ পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র অবস্থিত।

তিন দিনের মধ্যে রাফাহ কেন্দ্রে এটি ছিল তৃতীয় রক্তক্ষয়ী হামলা। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৭ মে জিএইচএফ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সহিংসতা, লুটপাট ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি ত্রাণপ্রত্যাশী নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কিছু ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি’ নির্ধারিত রুট থেকে সরে গিয়েছিল, তখন সেখানে জড় হওয়া জনতা জিএইচএফ বিতরণ কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় সেনাবাহিনী গুলি চালায়।

তারা আরও জানিয়েছে, এই ‘সন্দেহভাজনরা’ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে ছিল। ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড বিভাগের প্রধান জাহের আল-ওয়াহিদি মৃত্যুর এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।

রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির মুখপাত্র হিশাম মেহন্না জানান, আহতদের মধ্যে ১৮৪ জনকে রাফাহর তাদের ফিল্ড হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৯ জন আগেই মারা গিয়েছিলেন এবং পরে আরও ৮ জন মারা যান।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এটি ভয়ঙ্কর এবং ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল ‘ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের’ জিএইচএফ কেন্দ্রগুলোতে টেনে এনে গুলি চালাচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলো ১১ সপ্তাহের পুরোপুরি অবরোধের পর চালু হয়েছিল, যখন জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম মূলত জিএইচএফ-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলায় মৃতের সংখ্যা যোগ করলে, রাফাহ গভর্নরেট ও নেটসারিম করিডোরে জিএইচএফ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ত্রাণ কেন্দ্রে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০২ জনে এবং আহতের সংখ্যা ৪৯০।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।