ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরাকে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে ইরানপন্থি হাজারো ইরাকি রাস্তায় নেমে আসে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলকে অপরাধী রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিরও তীব্র সমালোচনা করে। তারা ইরান ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ইরাকি বলেন, ইসরায়েল কেবল গাজায় নয়, এখন পুরো অঞ্চলকে আগুনে জ্বালিয়ে দিতে চায়। আমাদের কর্তব্য হলো প্রতিরোধ করা।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের আকস্মিক বিমান হামলায় ইরানের ভূখণ্ডে একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার পর পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এই পাল্টাপাল্টি আক্রমণের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
ইরান বলছে, ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে তারা বৈধ প্রতিরক্ষা চালিয়েছে। দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদ পরিচালিত অপারেশন হাবে হামলা করেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পরিণতি হতে পারে ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের মতো, এমন হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে ইরানপন্থি ইরাকি মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয় হস্তক্ষেপ আশঙ্কা বাড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা ইরাকে মার্কিন সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। তাদের দাবি, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আগ্রাসন ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য হুমকি।
আরএইচ