ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৩ জুন থেকে এই সংঘাত শুরু হয়।
এরপর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। এই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরস্পরবিরোধী নানা বক্তব্য দিয়েছেন। কখনো ইরানকে আলোচনার টেবিলে ডেকেছেন, তো কখনো হামলার কথা বলেছেন।
শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার দাবি জানায়। পরে পেন্টাগনের এক ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।
পেন্টাগনে ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি আবারও মধ্যপ্রাচ্যে একটি অনির্দিষ্ট ও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে, যার পেছনে রয়েছে বিধ্বংসী নানা অস্ত্র?
জবাবে হেগসেথ দৃঢ়ভাবে বলেন, না, এটি মোটেও অনির্দিষ্টকাল ধরে চলা কোনো যুদ্ধ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে একটি সুস্পষ্ট মিশন দিয়েছেন। আর সেটি হলো ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা।
হেগসেথ বলেন, এটাই ইরানি সরকারকে বুঝতে হবে। প্রেসিডেন্ট গতরাতে যেমনটা বলেছিলেন, তিনি শান্তি চান। এই সংকটের সমাধান হওয়া দরকার আলোচনার মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্র কবে ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নেয় — এমন প্রশ্নে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছিলেন এবং আলোচনার পথে এগোতে চেয়েছিলেন।
পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে হেগসেথ বলেন, ট্রাম্প ইরানকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু তেহরান ছিল একরকম অচলাবস্থার মধ্যে। কোনোভাবেই তারা আলোচনার পথে আসেনি।
তিনি বলেন, কোনো নির্দিষ্ট মুহূর্ত নয়, বরং একটা সময় এসে ট্রাম্প বুঝেছেন যে আর সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। হুমকি কমাতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
হোয়াইট হাউস গত বৃহস্পতিবার বলেছিল, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত ট্রাম্প নেবেন ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে’।
আরএইচ