ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ

ভারতীয় সেন্সরবোর্ডের গণপদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
ভারতীয় সেন্সরবোর্ডের গণপদত্যাগ লিলা স্যামসন

ঢাকা: ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের প্রধান লিলা স্যামসনের পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন বোর্ডের আরও ছয় জন সদস্য।

বোর্ডের কাজে হস্তক্ষেপ এবং মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে শনিবার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তারা।



বিতর্কের সূত্রপাত ভারতের বিতর্কিত ধর্মীয় গোষ্ঠী ডেরা সাচা সৌদার প্রধান বাবা রাম রহিমের একটি এক ঘণ্টার চলচ্চিত্র নিয়ে। সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র না দিলেও এটি ছাড়পত্র পায় ফিল্ম সার্টিফিকেশন আপিল ট্রাইব্যুনাল (এফসিএটি) থেকে।

ধারণা করা হয়, ‘মেসেঞ্জার অব গড’ নামের ছবিটি রাজনৈতিক বিবেচনায় ট্রাইব্যুনালের আনুকূল্য পেয়েছে।   প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন সেন্সর বোর্ড প্রধান লীলা স্যামসন।

যদিও ইস্তফার কারণ হিসাবে তিনি ‘মেসেঞ্জার অব গড’ নামক ওই ছবিটির কথা বলেননি। তবে সেন্সর বোর্ডের কাজে হস্তক্ষেপ, অন্য ক্ষেত্র থেকে বোর্ডের কাজে জোর খাটানো, প্যানেল সদস্যদের দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগ করেন লীলা। ছিল অর্থাভাবের কারণে সদস্যদের বৈঠক না হওয়ার প্রসঙ্গও। কিন্তু তার সরাসরি অভিযোগ ছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দিকে। যার কর্তা অরুন জেটলি।

শুক্রবার লীলার পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন আর এক বোর্ড সদস্য ইরা ভাস্কর। লীলার ইস্তফার জেরেই যে এই সিদ্ধান্ত তাও জানান তিনি। দুর্নীতির প্রশ্নে লীলার পাশে থাকার কথা জানিয়ে ইরা এ সময় জানান সামনে আসছে আরও পদত্যাগ। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার পদত্যাগপত্র জমা দেন লোরা প্রভু, পঙ্কজ শর্মা, রাজীব মাসান্দ, টি জি থিয়াগারাজন, মামাং দাই এবং শুভ্রা গুপ্ত।
 
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের নিজের ভাবাদর্শ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, ভারতের বিরোধী দলগুলো এই দাবি করে আসছে।   এছাড়া বাবা রাম রহিম নামের স্বঘোষিত ধর্মগুরু গত জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালিয়েছিলেন।

এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের এই গণপদত্যাগ নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে ভারতের রাজনীতিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।