ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বালিতে ১ রাত হোটেল ফ্রি, দ্বিতীয় রাত থেকে ভাড়া অর্ধেক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
বালিতে ১ রাত হোটেল ফ্রি, দ্বিতীয় রাত থেকে ভাড়া অর্ধেক মাউন্ট অ্যাগুঙ আগ্নেয়গিরি থেকে ধোঁয়া ও গ্যাস উদগীরণ।

ঢাকা: বালি এয়ারপোর্টে আটকে পড়া ট্যুরিস্টদের হোটেল ফেরার জন্য বাস সার্ভিস চালু করেছে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টার। আর হোটেলগুলো প্রথম রাত বিনে পয়সায় ট্যুরিস্ট রাখার ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, দ্বিতীয় রাত থেকে ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক ভাড়া গুনলেই চলবে।

দুর্যোগকালীন এই পরিস্থিতিতে পর্যটন দ্বীপ বালির ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও তাদের কর্মীদের ১৫ পয়েন্টে ট্যুরিস্টদের সহযোগিতার জন্য নিয়োজিত রেখেছে।

বালি ট্যুরিজম হসপিটালিটি বিভাগ জানিয়েছে, আটকে পড়া যাত্রীদের হোটেল ভাউচার দিচ্ছে অনেক এয়ারলাইনস।

এমনকি যাত্রা বাতিলের জন্য যাত্রীদের নগদ অর্থও দিচ্ছে জেট স্টার এর মতো কোনো কোনো এয়ারলাইনস। এক্ষেত্রে প্রতি রাতের জন্য তারা গুণছে প্রায় ১২ মার্কিন ডলার (১ ডলারে ৮৫ টাকা)।    

আরো ফুঁসে উঠছে বালি দ্বীপের আগ্নেয়গিরি

যারা জাকার্তা থেকে বালিতে ফ্লাই করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের বালির নগুরাহ রাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট পরিহার করে সুরাবায়া যেতে বলা হয়েছে।

আর মেয়াদ শেষ হওয়া ভিসা নবায়নের আহবানে সাড়া দিয়ে এ পর্যন্ত ৮ জন বিদেশি নাগরিক তাদের ভিসার মেয়াদ ১ মাস করে বাড়িয়ে নিয়েছেন। এদের মধ্যে এক মার্কিন, ৪ জন রাশিয়ান এবং অবশিষ্ট তিনজন ফ্রান্স ও জার্মানির নাগরিক।

এদিকে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বালি দ্বীপের মাউন্ট অ্যাগুঙ আগ্নেয়গিরির জ্বলামুখ দিয়ে ধোঁয়া ও আগ্নেয় ছাই উদগীরণের মাত্রা আরো বেড়েছে। প্রবল বেগে বের হয়ে আসছে উত্তপ্ত গ্যাস ও গলিত পাথরের টুকরা।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, জ্বালামুখ থেকে প্রায় ৩০ হাজার ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠছিলো কালো ধোঁয়া ও আগ্নেয় ছাই। চটচটে লাভা নির্গত হতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা মাউন্ট অ্যাগুঙ এর এই আচরণের সঙ্গে ১৯৬৩ সালের আচরণের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। সে সময় অগ্ন্যুৎপাতে ১৬০০ মানুষ প্রাণ হারান। নির্গত হয় এক বিলিয়ন মেট্রিক টন ধ্বংসাবশেষ।

চলতি দফায়ও ১৯৬৩ সালের মতো ভয়াবহ বা তার চেয়েও বেশী অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি বিস্ফোরণ ঘটতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।