আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, তীব্র তুষারঝড়ে জার্মানির টাইজেনব্যার্গে এক তরুণী ও বাভারিয়া অঙ্গরাজ্যে এক ব্যক্তির (৪৪) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রিয়ায় গত এক সপ্তাহে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা গেছেন আন্তত পাঁচজন।
এদিকে, তুষারঝড়ে গাছ পড়ে ও বরফ জমে বেশির ভাগ রাস্থাঘাট বন্ধ হয়ে পড়েছে। রাস্তার পাশে পার্কিং করা গাড়িগুলো যেখানে ছিল, সেখানেই আটকে আছে। এক রাতের ঝড়েই অনেক গাড়ি তলিয়ে গেছে বরফে। সঙ্গে রাস্তাও। আর সাদা হয়ে আছে পুরো প্রকৃতি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাভারিয়ান শহর জিগসডর্ফ থেকে মিউনিখ যাওয়ার পথে ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় গাড়ি আটকে যায়৷ পরে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ও সড়ক ব্যবস্থাপকরা এই সড়কপথকে সচল করেন৷
তাছাড়া তুষারঝড়ের কারণে মধ্য অস্ট্রিয়ার একটি প্রধান রাস্তায় গাড়ি ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সড়ক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
তুষারঝড়ের কারণে পরিস্থিতি এতো খারাপ হয়েছে যে- দক্ষিণ জার্মানির বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইতোমধ্যেই। সাধারণত তীব্র তুষারঝড় বা তুষারপাত হলে স্কি করার আনন্দ বেড়ে যায়। কিন্তু এই তুষারঝড়ে স্কি করায় সতর্কতা জারি করছে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ। কেননা, স্কি করতে গিয়ে তুষারধসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ফিনল্যান্ডে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ইউরোপের এই দেশগুলোতে সপ্তাহজুড়ে থাকতে পারে ভয়াবহ রকমের এই তুষারঝড়। তাই তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
টিএ