রোববার (১৩ জানুয়ারি) আমেরিকান সংবাদ মাধ্যম মেট্রো সূত্রে জানা যায়, ডেমোক্রেটিক কোয়ালিশনের চেয়ারম্যান জন কুপার চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি টুইট করেছেন, ‘আমি বিষয়টা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কিন্তু এ বিষয়ে আমার এক জ্ঞানী বন্ধু আমাকে বলেছে, রাশিয়ার একটি জনগোষ্ঠী ও পুতিন, ট্রাম্পকে জয় করবে।
নতুন বছরের শুরুতে বিষয়টি বহুল আলোচিত হয়েছে যখন মুলারের তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। যখন আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে এনবিসি নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাবেক মেরিন কর্মকর্তা ‘পল ইউলেন’ রাশিয়ান গোয়েন্দা হিসেবে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে সংঘর্ষের চাল চেলেছিল।
এ বিষয়ে নেড প্রাইস লিখেছেন, ‘আমাকে তাদের দলেই রাখা হোক, যেভাবে পুতিন মারিয়া বুটিনা’র জন্য চাল (ইউলেন) চেলেছিল। যে ইতোমধ্যে আমেরিকার রক্ষণশীল রাজনৈতিক আন্দোলনে রাশিয়ান এজেন্ট হিসেবে অনুপ্রবেশের কারণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। '
গত মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে বিস্তর বিপাকে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার নিজ দল থেকেও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন অনেকেই। নির্বাচনে ট্রাম্প ও তাঁর প্রচার শিবির রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগ দেড় বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন বিচার বিভাগীয় বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট ম্যুলার।
এদিকে তদন্ত বন্ধের সবরকম চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এককালীন আইনজীবী ও নানা অপকর্মের সঙ্গী মাইকেল কোহেন নিজের দোষ স্বীকার করে করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে একাধিক নারীর মুখ বন্ধ করতে ট্রাম্পের আদেশ তিনিই বাস্তবায়ন করেছেন। এছাড়া রাশিয়ায় ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে তারই মাধ্যমে।
নিজেকে বাঁচাতে টুইটারে কোহনকে নিয়ে একাধিক টুইট করে নিজের দোষ আড়াল করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত থামাতে এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে পদচ্যুত করেছিলেন তিনি। এমন খবর প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বিভাগীয় তদন্তে ট্রাম্প রাশিয়ার পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন কি না তা নিয়েও তথ্য খোঁজা হচ্ছে। যদিও বরাবরের মতোই এসব ‘মিথ্যে’ বলে বাতিল করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প ক্রমেই চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন। মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরাতে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের তহবিল বরাদ্দের ধোঁয়া তুলে নিজের সরকার নিজেই ‘অচল’ করে রেখেছেন তিনি। এটি চলছে ২২ দিন ধরেই। এমনকি ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ না পাওয়ায় জরুরী অবস্থা জারির হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমএএম/এমএইচএম