সেইসঙ্গে পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষে পাঞ্জাব ও রাজস্থান দিয়ে দুই হাজার ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ অক্ষীয় এবং পার্শ্ববর্তী রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সিপিডব্লিউডি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারত সরকার সিপিডব্লিউডিকে নির্দেশ দিয়েছে- ইন্দো (ভারত)-চীন সীমান্ত বরাবর ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ৪৪টি সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
এর আগে এ মাসেরই শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগের প্রকাশিত বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রতিবেদনের (২০১৮-২০১৯) বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট করে- যেকোনো সংঘর্ষের সময় বা অন্য কোনো প্রয়োজনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেনা মোতায়েন করার জন্য চীন সীমান্ত বরাবর সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভারত এবং চীনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ লাইন আছে প্রায় চার হাজার কিলোমিটারের মতো। যা জম্মু এবং কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। তাছাড়া বার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে- এই রাস্তাগুলোর নির্মাণ প্রকল্পে তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনটি বলছে, চীন সীমান্ত বরাবর ৪৪টি ‘কৌশলগত’ সড়ক নির্মাণ করতে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার কোটি রুপি। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কগুলো নির্মাণ হবে জম্মু এবং কাশ্মীর থেকে শুরু করে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও সিকিম রাজ্য হয়ে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে।
অন্যদিকে, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের ইন্দো-পাকিস্তান সীমান্তে দুই হাজার ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পার্শ্ববর্তী এবং অক্ষীয় সড়ক নির্মাণে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ কোটি রুপি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
টিএ