ব্রিটিশ নিম্নকক্ষে এখন থেকে গর্ভবতী এবং সদ্য মা-বাবা হওয়া সদস্যরা নিজে উপস্থিত না হয়ে হাউস অব কমন্সের যেকোনো নির্বাচনে অন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রক্সি ভোট দেওয়াতে পারবেন।
সম্প্রতি কমন্সের লিডার অ্যান্ডেরিয়া লিডসম ঘোষণা দিয়েছেন, কমন্সের ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এর আগে ওই প্রক্সি ভোটের প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।
লিডসম আরও বলেন, আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি নতুন বাবা-মা তাদের শিশুর সঙ্গে এখন থেকে সময় কাটাতে পারবেন। ভোটের চেয়ে অবশ্যই শিশু এবং বাবা-মা উভয়েরই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
গত ১৫ জানুয়ারি ব্রেক্সিট ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তিটি পাসের জন্য ভোটাভুটি হয়েছিল। তখন সিজারিয়ান অপারেশন পিছিয়ে দিয়ে হুইল চেয়ার চেপে ভোট দিতে গিয়েছিলেন হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্নের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। এরপরই গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে ব্রিটিশ সংসদ ভোটিং ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এছাড়া এমপি হওয়ার পর থেকেই গর্ভবতী বা সদ্য মা-বাবা হওয়া সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রক্সি ভোট দেওয়ার বিষয়টি প্রবর্তনের দাবি করে আসছিলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি। অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়টির পরিবর্তন হয় সংসদে।
ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের নিয়ম ছিল সদস্যকে যেকোনো অবস্থাতেই নিজে গিয়ে ভোট দিতে হবে। অপরদিকে, এখনের প্রক্সি ভোটিং ব্যবস্থাকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলেছেন টিউলিপও। তিনি টুইট করেছেন, ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই আমি প্রক্সি ভোটিংয়ের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম। তখন আমাকে অনেকেই বলেছিলেন, এটা ব্যর্থ চেষ্টা। কমন্সের নিয়ম পাল্টাবে না। আজ পাল্টেছে, আমি সফল। এখন থেকে প্রসূতি ও সদ্য মা-বাবা হওয়া সদস্যরা বাসায় সময় কাটাতে পারবেন।
আরও পড়ুন>>> পুত্র সন্তানের মা হলেন টিউলিপ সিদ্দিক
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
টিএ