কৌঁসুলিদের এক আপিল স্থগিত করে শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) আইসিসির বিচারকরা ৭৩ বছর বয়সী বাগবো এবং তার উপদেষ্টা চার্লস ব্ল গদকে জামিনে মুক্তি দিতে আদেশ দেন। এক্ষেত্রে আইসিসির শর্ত মানতে প্রস্তুত বাগবোর কোনো বন্ধু রাষ্ট্রে তাকে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করা বাগবোর বিরুদ্ধে ২০১০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ এবং নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে চারটি মামলা হয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালে তাকে হেফাজতে নেয় আইসিসি। ২০১৪ সালে তার উপদেষ্টা ব্ল গদকেও হেফাজতে নেয় আন্তর্জাতিক এ আদালত।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর গত ১৫ জানুয়ারি দু’জনকেই অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিচারক চিলি ইবো-ওসুজী বলেন, আদালত শর্তসাপেক্ষে বাগবো-গদকে জামিনে মুক্তি দিচ্ছে, এক্ষেত্রে আইসিসির সদস্য কোনো একটি রাষ্ট্র যেন আদালতের শর্ত মেনে তাকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হয়।
এর মাধ্যমে আদালত যে বাগবোকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে চাইছেন না, তা-ই স্পষ্ট হচ্ছে।
এর আগে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির পরও বাগবোকে আটকে রাখতে আপিল করেছিলেন কৌঁসুলিরা। তারা চেয়েছিলেন, বাগবোকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পরবর্তীতে তাকে আদালতে আনার সুযোগ যেন নিশ্চিত করা হয়।
এক্ষেত্রে তারা কঙ্গোর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিদ্রোহী নেতা জ্য-পিয়েরে বেম্বার মামলাটি আদালতে তুলে ধরেছিলেন। নিজের অনুসারীদের অপরাধের নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধের মামলায় বেম্বাকে প্রথমে আদালত জামিন দিলে তিনি বেলজিয়ামে চলে যান। পরে জানা যায় তিনি সাক্ষীদের ‘বাগে’ এনে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন। এরপর তাকে দণ্ড দেওয়া হলেও তিনি ‘হেফাজতে থাকার সময়কেই কারাভোগ’ দেখিয়ে আর আদালতে ধরা দেননি।
বিষয়টি আমলে নিয়েই আইসিসির বিচারকরা বাগবো-গদের ক্ষেত্রে বলেছেন, তাদের ‘জামিন প্রক্রিয়ায়’ কোনো ফাঁক যেন না থাকে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
এসএমএ/এইচএ/