সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২০ বছর বয়সী বৈষ্ণবীর ঘর থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। ভেঙ্কা রেডি নামে মেয়েটির বাবাকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ধারণা করছে, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন ভেঙ্কা রেডি।
এ বিষয়ে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা শ্রীনিবাস রাও বলেন, মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আগে থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রেডি। তিনি সন্দেহ করছিলেন তার মেয়ে সেই সহপাঠীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই রাগের মাথায় মারধরের একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। আমরা সন্দেহজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছি। ময়নাতদন্তের পরে এটি হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষ্ণবী প্রায়ই কথিত ‘নিম্নবর্ণ’র ওই সহপাঠীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। বাবা তাকে প্রায়ই নিষেধ করলেও বৈষ্ণবী তা মানতেন না।
এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে, ‘বৈষ্ণবী তার সহপাঠীকে বিয়েও করেনি কিংবা তার সঙ্গে পালিয়েও যায়নি। ’ তবু তার বাবা সম্পর্কটি মেনে নিতে পারছিলেন না।
ধর্ম ও বর্ণের ‘সম্মান রক্ষা’র নামে যে হত্যাকাণ্ড হয়, সেটিকে ‘অনার কিলিং’ বলা হয়। অসংখ্য ধর্ম-বর্ণ ও জাত-পাতের দেশ ভারতে প্রায়ই এ ধরনের ‘অনার কিলিং’ হয়ে থাকে। দেশটিতে ‘অনার কিলিং’ এমন পর্যায়ে চলে যে, এ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে চলচ্চিত্র পর্যন্ত নির্মাণ হয়েছে ভারতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এসএ/এইচএ/