ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মোদীর ছবিতে চুমু খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
মোদীর ছবিতে চুমু খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল ভিডিওটি টুইটারে প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘এমনও হয়’

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান বাহিনী পাঠিয়ে অভিযান চালিয়ে ভারতবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

একেকজন একেকভাবে মোদীর প্রশংসা করছেন। এরই মধ্যে মোদীর ছবিতে চুমু খাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

 

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওটিতে দেখা যায়, ভারতীয় এক নারী ট্রেনে থাকা মোদীর ছবিতে চুমু খাচ্ছেন। তারপর যখন খেয়াল করলেন তাকে রেকর্ড করা হচ্ছে, তখন হাসতে হাসতে চলে যেতে দেখা যায় সেই নারীকে। ভিডিওটি টুইটারে প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘এমনও হয়’।

এটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বহুমানুষ মন্তব্য করতে শুরু করেন। মোদীর এক ভক্ত বলেন, ‘এর মানেই বোঝা যায় কিভাবে মানুষের মন জয় করা যায়। ’

অন্যদিকে এই ভিডিওটির পাশাপাশি সেসময় কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধীর একটি চুমুর ভিডিও অনেকে শেয়ার করে লিখেছেন- ‘এমনও হয়ে গেছে’ এবং ‘এমন দিওয়ানা আমরা আগে কখনো দেখিনি’।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।

জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। হামলায় প্রায় ৩০০ জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করে ভারত। এর একদিন পরই ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট অভি নন্দনকে আটক করার দাবি করে পাকিস্তান।

অবশ্য বুধবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে সতর্ক করে বলেন, ‘যে অস্ত্র আপনাদের আছে, সে অস্ত্র আমাদেরও আছে। যুদ্ধ বেঁধে গেলে কিন্তু পরিস্থিতি কারোরই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ’ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভারতকে শান্তির স্বার্থে সংলাপে বসার আহ্বানও জানান তিনি।  

এদিকে বুধবার পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে। ‘#সে নো টু ওয়ার’ হ্যাশট্যাগে শুরু হওয়া এ প্রচারণা এখন দেশটিতে এক নম্বর ট্রেন্ড হিসেবে জায়গা পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।