এই অবস্থায় ‘সমঝোতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে লাহোর অভিমুখে যে পাকিস্তানিরা ভারত থেকে রওয়ানা হয়েছিলেন, তারা আটকা পড়েছেন পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসর শহরের কাছে আত্তারি রেলওয়ে স্টেশনে।
দু’দেশের সীমান্ত আর নেতৃত্ব পর্যায়ে একপ্রকার যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করলেও আটকে পড়া সেই পাকিস্তানিদের এই শঙ্কায় ভুগতে দিচ্ছে না ভারতের পুলিশ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমেই এই সৌজন্যমূলক আচরণের মুহূর্তের ছবি প্রকাশ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ায় আটকে পড়া পাকিস্তানি যাত্রীদের মাঝে খাবার বিতরণ করছেন পাঞ্জাবের পুলিশ সদস্যরা। ’
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে জঙ্গি হামলা হলে ৪৪ জওয়ান নিহত হন।
এই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী।
একদিন পরই অর্থাৎ বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করার দাবি করে পাকিস্তান।
এরপর ভারত তাদের পাইলটকে ফেরত চেয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত দেশটির উপ-হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠায়। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা দেন, ‘শান্তির স্বার্থে’ শুক্রবার অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার ঘোষণা অনুযায়ী, অভিনন্দনকে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দু’দেশের ওয়াঘা সীমান্তে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এইচএ/