স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর মোগাদিসুর মাকা আল-মুকাররম হোটেল ও এক বিচারকের বাসভবনে হামলা চালায় আফ্রিকার জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের সঙ্গে আল-শাবাবের যোদ্ধাদের গুলি বিনিময় ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে হোটেলটি লক্ষ্য করে হামলার কথা স্বীকার করেছে আল-কায়েদা সংযুক্ত জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব। তবে পুলিশের দাবি দেশটির প্রধান বিচারপতিকে হত্যার জন্যই তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।
এ ব্যাপারে মুহামেদ হুসেইন নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাড়ি বোমাটি প্রধান বিচারপতি আবশির ওমরের বাসভবনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেসময় ভবনটিতে প্রবেশ করতে চাইলে বাইরে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে আল-শাবাবের সদস্যদের গুলি বিনিময় শুরু হয়।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের পর কমপক্ষে ৪ জন বন্দুকধারীকে নিকটস্থ স্থানে গিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। সেসময় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও হোটেলটির গার্ডদের সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিচারপতি ওমরের বাড়ির ছাদে বিস্ফোরণ হয়। এরপর বন্দুকধারীরা গুলি চালাতে শুরু করে। সেসময় আশপাশের বহু গাড়িতে আগুন ধরে যায়। পাশাপাশি হোটেলটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং এর ভেতরে থাকা অনেকেই আহত হয়।
এদিকে আল-শাবাব দাবি করেছে, বিচারপতির বাসভবন নয়, হোটেলটিকে লক্ষ্য করেই তারা এ হামলা চালিয়েছিল। এর আগেও কয়েকবার এই হোটেলটি ছিলো তাদের লক্ষ্যবস্তু। সর্বশেষ ২০১৫ সালে মাকা আল-মুকাররম হোটেলটিতে জঙ্গিগোষ্ঠীটি হামলা চালালে প্রায় ১৫ জন নিহত হন।
অন্যদিকে হোটেলটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে এক টুইটে দাবি করেছেন আল-শাবাবের এক মুখপাত্র।
আফ্রিকার এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি মূলত দেশটিতে শরীয়াহভিত্তিক আইন আরোপের জন্যে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। এতে নিহত হচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ। ২০১৭ সালে আল-শাবাবের হামলায় প্রায় ৫০০ জন বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছিল।
তাবে তাদের প্রতিহত করতে আফ্রিকার সরকারকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এসএ/জেডএস