ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মার্কিন চাপ সামলেই ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৯
মার্কিন চাপ সামলেই ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে তুরস্ক রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ‘এস-৪০০’ ও মার্কিন যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫’/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাশিয়া ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এর জন্য মার্কিন চুক্তিতে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার।

শুক্রবার (০৮ মার্চ) তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে চলমান সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একটি পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছি।

যা হবে- রাশিয়ার সঙ্গে ‘এস-৪০০’ কেনার যে চুক্তি হয়েছে, তা যেনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আগে হওয়া ‘এফ-৩৫’ চুক্তিতে কোনো ধরনের প্রভাব না ফেলে।

রুশ ‘এস-৪০০’ কেনা নিয়ে তুরস্ককে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবুও অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তে অটল তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোয়ান। এ নিয়ে সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে ‘বাণিজ্যিক সংকট’ দেখা দিয়েছে। চলছে পারস্পরিক বার্তা বিনিময়।

নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে রাশিয়া থেকে ‘এস-৪০০’ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তুরস্ক। আর দেশটির এ সিদ্ধান্তে তাদের প্রতি সতর্কতা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সতর্কতায় বলা হয়েছে, তুরস্ক যদি রাশিয়া থেকে ‘এস-৪০০’ কিনে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘এফ-৩৫’ কেনার যে চুক্তি হয়েছে, তা বাতিল হয়ে যেতে পারে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা পেয়েও এরদোয়ান বলছেন, ‘আঙ্কারা যুক্তরাষ্ট্রের দাস নয়’ যে, তারা সিদ্ধান্ত দেবে আর আমরা তাদের কথা মেনে অস্ত্র কিনবো।

আরও পড়ুন>> তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের দাস নয়, পাল্টা জবাব এরদোয়ানের

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার এও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘এফ-৩৫’ কেনার ব্যাপারে এখনও আলোচনা চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) মার্কিন স্টেট মুখপাত্র রবার্ট পাল্লাদিনো বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়েছি, তারা যদি রাশিয়া থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি কিনে, তাহলে আমাদের সঙ্গে তাদের যে ‘এফ-৩৫’ চুক্তি হয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং ভবিষ্যতে দেশটিতে কোনো ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করা হবে কি-না তাও অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের ‘এফ-৩৫’ চুক্তি হয়েছিল রুশ চুক্তির আগে। চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০টি ‘এফ-৩৫’ যুদ্ধবিমান কেনার কথা ছিল তুরস্কের। চুক্তির পর দু’টো যুদ্ধবিমান পাঠিয়েও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাকিগুলো পাঠাতে কিছু সময় চেয়েছিল দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫’ এর হুমকি হিসেবে দাঁড়াতে পারে রাশিয়ার এই ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্রটি। এ কারণেই তুর্কির ওপর হুঁশিয়ারি বা সতর্কতা জারি করে প্রধান পরাশক্তির দেশটি।

তুর্কির এই সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো জোটভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো সন্দেহের চোখে দেখছে। তুরস্কের এই সিদ্ধান্তে সেসব দেশের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক জটিলতা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে আঞ্চলিক হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের বিকল্প ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তুর্কি।

অন্যদিকে, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে তুরস্কে রুশ ‘এস-৪০০’ স্থাপন করা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
এসএ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।