সোমবার (১১ মার্চ) সকালে চীনা সিভিল অ্যাভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজেদের বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের সব প্লেন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উড্ডয়ন থেকে বিরত থাকবে। আর নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই রোববার (১০ মার্চ) ইথিওপিয়ান বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ প্লেন বিধ্বস্ত হয়। শুধু তা-ই নয়, এর কয়েকমাস আগেও একই মডেলের প্লেন বিধ্বস্ত হয় ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটির লায়ন এয়ারলাইন্সের নতুন ওই প্লেনটিও উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ আরোহী নিহত হয়েছিলেন। ঘন ঘন এ মডেলটির বড় দুর্ঘটনায় টনক নড়েছে চীনের। তারা বলছে, আকাশপথে নিরাপত্তা রক্ষায় চীন ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, একই মডেলের ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি দ্বিতীয়বারের মতো হওয়ায় বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের সব প্লেন নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে চীন।
বিবৃতিতে চীন প্রশাসন জানিয়েছে, সম্প্রতি বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের যে দু’টি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে, এর একটি নতুন ছিল। এছাড়া দু’টি প্লেনই উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাই এ মডেল নিয়ে তারা একটু উদ্বিগ্ন।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ মডেলের প্লেনগুলো আপাতত উড়বে না। প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং এবং মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তারা প্লেনগুলোর ‘ফ্লাইট নিরাপত্তা’ দিলেই আবার সেগুলো উড়বে। এমন একটি সতর্কতার জন্যই এ উদ্যোগ।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের প্লেন দুর্ঘটনার নির্দিষ্ট কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ইথিওপিয়ান এবং লায়ন এয়ারের এ দু’টি প্লেন দুর্ঘটনার মধ্যে সরাসরি সংযোগের (একই কারণে) কোনো প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন>> ত্রুটিতে ‘বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স’ প্লেন বিধ্বস্ত হতে পারে!
এদিকে, নিজেদের বহরে থাকা বোয়িংয়ের একই মডেলের সব প্লেনের ফ্লাইট বন্ধ করেছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটির টুইটার আইডিতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ মডেলের সব প্লেন গ্রাউন্ড করা থাকবে।
আবার ফ্লাইদুবাইসহ বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স তাদের বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ বহরের ওপর ‘আস্থা’ রেখে ফ্লাইট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
রোববার সকালে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ‘ইটি৩০২’ উড়াল দেওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যেই ৮টা ৪৪ মিনিটের দিকে বিধ্বস্ত হয়। জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল।
বাংলাদেশ সময়; ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
টিএ