এ ঘটনাকে বিস্ময়কর ও অসন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপের (আইএজি) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি, হ্যাকাররা সুপরিকল্পিতভাবে ও অত্যাধুনিক উপায়ে তাদের ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালায় বলে দাবি করেছে এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ।
আইসিও জানিয়েছে, তথ্যচুরির সময় ব্রিটিশ এয়ারের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের অন্য একটি ভুয়া ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসে। সেসময় এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ৩ লাখ ৮০ হাজার লেনদেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হ্যাকাররা ভ্রমণ ও পাসপোর্টের তথ্য চুরি করতে পারেনি।
আইসিওর বিশ্বাস, ২০১৮ সালের জুন থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের তথ্যচুরির ঘটনা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে গ্রাহকদের লগ ইন, পেমেন্ট কার্ড, ট্রাভেল বুকিং, এমনকি নাম-ঠিকানাসহ বেশ কয়েক ধরনের তথ্য চুরি হয়েছে।
তবে, ওয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গ্রাহকের নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস, ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও তিন ডিজিটের কার্ড সিকিউরিটি কোড (সিভিভি কোড) ক্রেডিট কার্ডের পেছনেই পাওয়া যায়।
এসবের প্রেক্ষিতে গত বছর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্য পাস হওয়া জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) আইনে জরিমানা করা হয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে। আইন অনুযায়ী, এ সাজার বিরুদ্ধে ২৮ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
একে