বুধবার (১০ জুলাই) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দেশটির থেসালোনিকি শহরের নিকটবর্তী হালকিদিকি এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ছয় পর্যটক নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়।
দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শহরটিতে গাড়ি ও গাছ উল্টে যাচ্ছে, বসতবাড়ির চাল উড়ে যাচ্ছে এবং মাটি ধসের ঘটনা ঘটছে।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের বেসামরিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রধান ক্যারালাম্বোস স্টেরিয়াডিস বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়ে ছয় পর্যটক নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে গাড়ি উল্টে চেক প্রজাতন্ত্রের দু’জন, গাছ ভেঙে পড়ায় এক রাশিয়ান ও তার ছেলে এবং একটি ভবন ধসে রোমানিয়ার এক নারী ও তার শিশু প্রাণ হারিয়েছেন।
বর্তমানে সেখানে প্রায় ১৪০ জন উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন। ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়ীত্ব ২০ মিনিটের মতো ছিল বলে জানায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঘূর্ণিঝড়ের আগের দুই দিন গ্রিসের তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’দিনের এ তাপদাহের পরেই শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এসএ/