চুক্তির দুই বছরের মধ্যেই শুক্রবার (১২ জুলাই) মিয়ানমার নৌবাহিনীর কাছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির প্রথম চালান সরবরাহ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভারতের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা নিউজ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে টর্পেডো রপ্তানির জন্য ২০১৭ সালে দেশটির সঙ্গে ৩৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল ভারত।
তবে মিয়ানমারে আসা টর্পেডোর সংখ্যা এবং দেশটির নৌবাহিনীর কোন বহরে প্রযুক্তিটি যোগ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এই প্রযুক্তির টর্পেডো ভারতীয় নৌবাহিনীর ২৫ ইউনিটে আছে। এর ওজন ২২০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য দুই হাজার ৭৫০ মিলিমিটার ও ব্যাস ৩২৪ মিলিমিটার। এতে উচ্চমাত্রার ৫০ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক ভর্তি থাকে। একইসঙ্গে এর কার্যকরী দূরত্ব সাত কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৫৪০ মিটার পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, টিএএল শেয়েনা ভারতে সরকারিভাবে বানানো প্রথম সাবমেরিন বিধ্বংসী উন্নত টর্পেডো। দেশটির প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) ন্যাভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ল্যাবরেটরিতে এ প্রযুক্তিটির মডেল তৈরি হয়। এছাড়া হায়দ্রাবাদে বিডিএলের নিজস্ব কারখানায় এই টর্পেডো বানানো হয়েছে।
কিন্তু প্রতিরক্ষা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের মিত্রতা এবারই প্রথম নয়; এর আগেও দেশটিতে অ্যাকোয়াস্টিক ড্রোন, ন্যাভাল সোনারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে নয়াদিল্লি। এছাড়া সীমান্তে বিদ্রোহ প্রতিরোধেও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এবার শেয়েনা দেওয়ার মাধ্যমে দু’দেশের সে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
টিএ