মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বলে পরিচিত শহরটির অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দংরি এলাকায় এ ভবন ধসের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর তিনটি দলের সঙ্গে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন স্থানীয়রাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েকটি ভবনের পাশের মাটি সরে যাওয়াতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০১৭ সালে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ওই ভবনটিকে ‘সি১ ভবন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, নিরাপত্তা নিরীক্ষায় ওই ভবনটিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এতদিন হলেও সে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়নি।
শুধু ওই ভবনটিই নয়, এর আশপাশের ভবনগুলোরও একই অবস্থা। প্রতি বর্ষাতেই সেগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
মুম্বাই বিল্ডিং রিপেয়ার্স অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকশন বোর্ডের (এমবআরআরবি) চেয়ারম্যান বিনোদ ঘোষালকার জানিয়েছেন, ঝুঁকিপুর্ণ ভবনগুলোর উন্নয়নের কাজ ডেভেলপার কোম্পানির হাতে দেওয়া হয়েছে। তবে, তারা এখনো কাজ শুরু করেনি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতো মুম্বাইতেও ভবনের নিরাপত্তা একটি বড় সমস্যা। চলতি বছরের মে মাসে নাগরিক সংস্থা বিএমসি সেখানকার ৪৯৯টি ভবনকে বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৬১৯টি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
একে