পুলিশ জানিয়েছে, ৪১ বছয় বয়সী ওই ব্যক্তি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে কিয়োটো অ্যানিমেশন নামক স্টুডিওর কাঁচ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় জড়িত ওই ব্যক্তিকে আটকের পর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিয়োটো অ্যানিমেশন, ‘কিয়োঅ্যানি’ নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত স্টুডিওটি ফিল্ম, গ্রাফিক নোবেল তৈরির পাশাপাশি এর ‘মানসম্পন্ন’ কাজের জন্য ভক্তদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি নাম।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনতলা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছুরি উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে।
দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, স্টুডিও থেকে ৩৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি প্রথম তলা থেকে, ১১টি দ্বিতীয় তলা থেকে, আর ২০টি তৃতীয় তলা থেকে। এছাড়া আহত অন্তত ৩৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মর্মান্তিক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কী সম্পর্ক তা জানা যায়নি। অগুনের ঘটনার সময় ভবনটিতে অন্তত ৭০ জন মানুষ ছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটিতে এটিই কোনো ‘বড় ধরনের সহিংসতা’র ঘটনা ঘটলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
জেডএস