সম্প্রতি ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে বিল গেটসকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন অভিজাত পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের কর্ণধার বার্নার্ড আর্নল্ট।
গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে, যা বিল গেটসের চেয়ে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বেশি।
২০১৯ সালে এ ফরাসি ধনকুবেরের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা ব্লুমবার্গ র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ৫০০ ধনীর মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত মাসে প্রথমবারের মতো সম্পদের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোয় সেরা ধনীদের তালিকায় তিনে উঠে আসেন ৭০ বছর বয়সী আর্নল্ট। প্যারিসভিত্তিক এলভিএমএইচ কোম্পানির অর্ধেকের বেশি শেয়ার তার হাতে। পাশাপাশি, বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউজ ক্রিশ্চিয়ান ডিওরের ৯৭ শতাংশ মালিকানাও তার।
১৯৮৪ সালে একটি টেক্সটাইল গ্রুপের মালিক হয়ে প্রথমবারের মতো অভিজাত পণ্যের বাজারে পা রাখেন এ ব্যবসায়ী। চার বছর পর ক্রিশ্চিয়ান ডিওর বাদে ওই গ্রুপের বাকি সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে এলভিএমএইচের নিয়ন্ত্রণ নেন আর্নল্ট।
শুধু টাকা-পয়সাই নয়, বার্নার্ড আর্নল্টের সংগ্রহে আছে ডেমিয়েন হার্স্ট, মারিজিও ক্যাটেলান, অ্যান্ডি ওয়ারহোল, পাবলো পিকাসোর মতো চিত্রকরদের বিখ্যাত সব চিত্রকর্ম। এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যযুগীয় স্থাপত্য নটর ডেম ক্যাথেড্রাল পুনর্নির্মাণে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তাকারীদের মধ্যেও আছে আর্নল্ট পরিবার।
এদিকে, অকাতরে দান না করলে হয়তো এখনো শীর্ষ ধনীর তালিকায় এক নম্বরেই থাকতেন বিল গেটস। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে তিনি প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার দান করে দিয়েছেন।
এছাড়া, জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ বিলিয়ন ডলারে। স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে দেওয়া বিপুল পরিমাণ ‘অর্থদণ্ড’ তাকে শীর্ষ ধনীর জায়গা থেকে সরাতে পারেনি। তবে, এ ঘটনা তার সাবেক স্ত্রীকে বিশ্বের চতুর্থ ধনী নারীর স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
একে