সবচেয়ে মর্মান্তিক হচ্ছে- শ্যামের বেশ কয়েকজন ফেসবুক বন্ধু লাইভে তার আত্মহত্যার ঘটনা দেখেছেন। তবে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগে থেকেই বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন শ্যাম।
পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানায়, সম্প্রতি অন্য একজনের সঙ্গে শ্যামের প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়। এ ঘটনা মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। আত্মহত্যার ঘটনার আগে চার পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোটও লিখে যান শ্যাম।
সেখানে আত্মহত্যার মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিবারের কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে দিতে অনুরোধ করেন তিনি।
সুইসাইড নোটে শ্যাম লেখেন, ‘আমার ওকে (প্রেমিকা) ছাড়া শূন্য লাগছে, আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না যে, অন্য কারো সঙ্গে ওর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ওকে হারানোর যন্ত্রণা আমাকে এতটাই আক্রান্ত করেছে যে, আমি আমার চাকরিটাও খুইয়ে ফেলেছি। ’
এদিকে ফেসবুকে চার মিনিটের লাইভে নিজের আত্মহত্যার ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিতে পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন ওই তরুণ। একই সঙ্গে নিজের মরদেহের কিছু ছবি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার জন্য পরিবারের সদস্যদের প্রতি মিনতি জানান তিনি।
স্থানীয় আচনেরা স্টেশন হাউজের কর্মকর্তা অজয় কুশল বলেন, স্থানীয়রা মন্দিরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই তরুণের মরদেহ দেখতে পান। তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হওয়ার খবরে তিনি হতাশ ছিলেন। তার চাকরিও চলে গেছে। আমরা ময়নাতদন্ত শেষে ওই তরুণের পরিবারের সদস্যদের মরদেহ বুঝিয়ে দিয়েছি।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে শ্যামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে রেখেছে তার পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এমএ