কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী হতে চেয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এ মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (২৩ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ও ভারতের (সাবেক) প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময় এটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যখন কাশ্মীর ইস্যু সমাধানের আমরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলাম।
ভারত বরাবরই দ্বি-পক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে সব অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের কথা বলে আসছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পৃথিবীর একশ’ তিরিশ কোটি মানুষের ব্যাপারে কথা বলছি। ভাবুন তো, কোনো ভাবে (কাশ্মীর) ইস্যুটির সমাধান হলে কতটা শান্তি আসবে!
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান জানান, ভারত যদি তাদের সব পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলে, তাহলে পাকিস্তানও একই কাজ করবে। তিনি বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ মানে নিজেদেরই ধ্বংস করে দেওয়া। কারণ, আমাদের আড়াই হাজার মাইল সীমান্ত এলাকা রয়েছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান বলেন, আমি মনে করি, এ উপমহাদেশে একটা ধারণা আছে যে, গত ফেব্রুয়ারিতে কিছু ঘটনা ঘটেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়েছে… এ কারণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেছি, যদি তিনি তার ভূমিকা রাখেন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রই পারে কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে।
ক্ষমতায় বসার পর প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থেকে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান খান।
তিনি বলেন, কাশ্মীরের কারণেই ৭০ বছর ধরে আমরা সভ্য প্রতিবেশীর মতো থাকতে পারছি না।
২০১৬ সালে পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের তীক্ততা বেড়েছে ভারতের। তখন থেকেই আর কোনো ধরনের দ্বি-পক্ষীয় আলোচনায় বসেনি দেশ দু’টি। এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত বলছে, সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। ফের আলোচনায় বসার আগে পাকিস্তানকে অবশ্যই সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন
** কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পকে ‘নাক গলাতে’ বলেনি ভারত
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
একে