ক্ষমতায় বসার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন ইমরান। তিনদিনের সফরকালে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি (আফগান) প্রেসিডেন্ট (আশরাফ) ঘানির সঙ্গে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর যখন ফিরে যাবো, তখন তালেবানদের সঙ্গেও দেখা করবো। আফগান সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনায় বসাতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, (আফগানিস্তানে) শান্তি আলোচনা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে নিয়ে যাবে, যাতে তালেবানরাও অংশ নেবে।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, আমাদের আর কখনোই আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তেক্ষেপ করা উচিৎ হবে না। আফগানরাই সিদ্ধান্ত নিক, তারা কী চায়, কোন ধরনের সরকার চায়। আমাদের উচিৎ শান্তি প্রক্রিয়া সহজ করে দেওয়া। এখানেই অনেক বড় পার্থক্য। এখন আমরা সবাই এক পাতায়। সৌভাগ্যবশত, যুক্তরাষ্ট্রও একই পাতায় আছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানি সেনা সংস্থার ভয়, ভবিষ্যতে দ্বি-মুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আপনারা জানেন, পূর্বাঞ্চলে আছে ভারত। আর, যদি আফগানিস্তানের ওপরও তাদের প্রভাব থাকতো, তবে পাকিস্তান এ দুইয়ের মধ্যে পড়ে স্যান্ডউইচ হতো।
তিনি বলেন, মনে হয়, কৌশলগত কারণে আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে আমরা নিজেদেরই অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
একে