বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় জেল কর্তৃপক্ষকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ কয়েদির সাজা কার্যকর করার জন্য সময় নির্ধারণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এই পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
উইলিয়াম বার বলেন, যাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং এরপর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।
মার্কিন এই প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, উভয়পক্ষের প্রশাসনের অধীনে নিকৃষ্ট সব অপরাধীর সাজা মৃত্যুদণ্ড হোক, এটা প্রত্যাশা করে বিচার বিভাগ। একইসঙ্গে বিচার বিভাগ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে আসছে, যা আমরা সবকিছুর ঊর্ধ্বেই রাখতে চাই।
এছাড়া বিচার ব্যবস্থায় আস্থা রাখার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি বাধিত হওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি মেনে তারা নিজেদের ক্ষতির বিচার চেয়ে এসেছেন। এজন্য আমরা তাদের কাছে ঋণী।
২০০৩ সালে ৫৩ বছর বয়সী লুইস জোনস জুনিয়রের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ সাজা কার্যকরে অলিখিত স্থগিতাদেশ দেওয়া ছিল।
প্রায় ১৬ বছর পর বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের নতুন ঘোষণার মাধ্যমে সে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যম এও বলছে, ১৯ বছর বয়সী সৈন্য ট্রেসি জো ম্যাকব্রাইডকে হত্যা করেছিলেন উপসাগরীয় যুদ্ধে অংশ নেওয়া লুইস। এই অপরাধে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
টিএ