শনিবার (২৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ জুলাই) আসামে বন্যায় আরও পাঁচজনের প্রাণহানি হয়।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজ্যে ১৭টি জেলার অবস্থান নিচু হওয়ায় সেখানে এখনও বন্যার পানি রয়েছে। এতে সেখানকার অন্তত ২০০টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আসামের সীমান্তবর্তী দেশ ভুটানের কুরিচু হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে পানি ছাড়া হবে বলে জানানো হয়। এতে আসামে পানির পরিমান বাড়ার আশঙ্কা থাকায় রাজ্যের বরপেটা, নালবারি, বাকসা, চিরাং, কোকরাঝাড়, ধুবরি ও দক্ষিণ সালমারা জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া পূর্বাভাস দেয় ভুটানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর হাইড্রোলজি অ্যান্ড ম্যাটেরোলজি। সেখানে বলা হয়, শনিবার ভুটানের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আওতায় আসামের নিচু অঞ্চলগুলোও রয়েছে।
এ নিয়ে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বন্যার কবলে পড়লো আসামের সাধারণ মানুষ। এবারের বন্যায় ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর নিজেদের ঘর ছাড়তে হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষকে। তারা বর্তমানে রাজ্যের ৯২৯টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ কোটি রুপি দেওয়া হবে। এ অর্থ দিয়ে বন্যার্তদের সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এসএ/