বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার (৩১ জুলাই) প্রদেশটির আব খোরমা এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র মহিবুল্লাহ মহিব জানান, আব খোরমা এলাকার হেরাত ও কান্দাহার প্রদেশের সংযোগ সড়কে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
হামলার ঘটনায় তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করে পুলিশের এ মুখপাত্র বলেন, আফগান সেনা ও বিদেশি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রায়ই তালেবান বিদ্রোহীরা সড়কের পাশে বোমা পুঁতে রাখে।
যদিও হামলার পেছনে তালেবান গোষ্ঠী রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
তালেবান কর্মকর্তা জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ হামলার দায় প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তালেবান যোদ্ধারা সড়কের পাশে কোনো ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখেনি। আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করছি।
তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘শান্তি আলোচনা’ পুনরায় শুরুর আগে এ হামলার ঘটনা ঘটলো। তালেবানদের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে দেশটি থেকে বিদেশি সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে, সম্প্রতি এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। কিন্তু এ শান্তি আলোচনা চলাকালীনও দেশটিতে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে।
সরকার ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরে প্রায় প্রতিদিনই দেশটির কোথাও না কোথাও তালেবান ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দেশটির সেনা সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা কিংবা সাধারণ মানুষ নিহত বা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সব মিলিয়ে দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের মাইন বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএমএএস) তথ্যানুসারে, ২০১৮ সালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আফগানিস্তানে এক হাজার ৪১৫ জনেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এইচজে/এসএ