শনিবার (৩ আগস্ট) তেহরান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আইসিএএনএ’এর বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার জাভেদ জারিফ বলেন, ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসতে আরও একটি পদক্ষেপ নেবে ইরান।
তবে পদক্ষেপের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি যে, চুক্তির আওতাধীন অন্য দেশগুলো যদি সম্পূর্ণভাবে এ চুক্তির শর্ত না মানে, তাহলে আমরাও একই কাজ করবো। তবে অবশ্যই আমাদের সব পদক্ষেপই চুক্তির অবকাঠামো অনুসারে হবে।
২০১৮ সালে ‘ইরান চুক্তির শর্ত পরোপুরি মানছে না’ এমন অভিযোগে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই ইরানের ওপর ফের বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
এর প্রেক্ষিতে ইরানও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে রক্ষায় চুক্তির আওতাধীন অন্য দেশগুলো যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ইরানও চুক্তি থেকে সরে আসবে।
এর মধ্যে গত মাসে ইরান হুমকি দেয় যে, চুক্তির বাইরে গিয়ে দেশটি নিজেদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ আরও ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াবে।
ইরানি কর্মকর্তারা এও জানায়, চুক্তির আওতাধীর অন্য দেশগুলো যদি চুক্তির প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণভাবে মানতে শুরু করে, তাহলে ইরানও চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
সবশেষ গত ৩১ জুলাই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কিংবা এর নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো উৎসে থাকা ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যে কোনো সম্পত্তিও জব্দ বলে বিবেচিত হবে বলে জানায় ওয়াশিংটন। তবে দেশের বাইরে কোথাও নিজের কোনো সম্পত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন জারিফ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) এক দাতব্য অনুষ্ঠানে জাভেদ বলেন, ইরানের মানুষের অধিকার রক্ষার চেষ্টায় আমার ওপর আরোপিত এ মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় আমি গর্বিত।
ইরানকে পরমাণু বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ছয় পরাশক্তি (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি) মিলে তেহরানের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু ২০১৮ সালে সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে আগের মতোই তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। আর এরপর থেকেই উত্তেজনা দেখা দেয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এইচজে/এসএ