মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এক বক্তব্যে রুহানি এ মন্তব্য করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ কথা জানায়।
গত বছর ইরানের সঙ্গে বিশ্বশক্তির দেশগুলোর হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে একপাক্ষিকভাবে সরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর একের পর এক কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ নিয়ে বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা তুঙ্গে।
রুহানি তার বক্তব্যে বলেন, ইরানের সঙ্গে শান্তি সকল শান্তির জননী, একইভাবে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধও সকল যুদ্ধের জননী। এ ছাড়া সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসা করেন তিনি।
রুহানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়, তবে তাদের সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে। ইরানকে অবশ্যই তেল রপ্তানি করতে দিতে হবে।
কিছুদিন আগে সিরিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেখানে তেল পরিবহনের অভিযোগে জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে একটি ইরানি ট্যাংকার আটক করে যুক্তরাজ্য। এর প্রতিক্রিয়ায় দুই সপ্তাহ পরেই হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ ট্যাংকার স্টেনা ইম্পেরোকে আটক করে ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। এসব ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়।
রোববারও (০৪ আগস্ট) অবৈধ জ্বালানি পরিবহনের অভিযোগে সাত ক্রুসহ একটি তেল ট্যাংকার আটক করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
ট্যাংকার আটকের এসব প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমা শক্তির উদ্দেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রণালীর বদলে প্রণালী। এটা হতে পারে না যে, আমাদের জন্য জিব্রাল্টার প্রণালী বন্ধ, আর আপনাদের জন্য হরমুজ প্রণালী উন্মুক্ত।
হরুমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের মোট তেলের প্রায় এক পঞ্চমাংশ পরিবহন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এইচজে/টিএ