ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘বিচ্ছিন্ন’ কাশ্মীরে বিক্ষোভ-পাথর নিক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৯
‘বিচ্ছিন্ন’ কাশ্মীরে বিক্ষোভ-পাথর নিক্ষেপ

ঢাকা: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় ভারতের সংবিধানে রাখা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ ঘোষণার পর কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে অঞ্চলটি। সেখানে বিপুলসংখ্যক সেনাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটছে।

সাংবাদিক আমীর পীরজাদার বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  

ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে অবস্থানরত আমীর পীরজাদা জানান, শ্রীনগর এবং কাশ্মীরের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ার খবর পাওয়া গেছে।

তবে সরকারিভাবে এসব খবরের কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।

কাশ্মীর ক্রোধে ফুঁসছে উল্লেখ করে পীরজাদার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের রাস্তায় হাজার হাজার সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য টহল দিচ্ছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেখানে কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ল্যান্ডফোন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে কে কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে - সবকিছু নিরাপত্তা বাহিনী যাচাই করছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে। খবরে বলা হয়, যোগাযোগ এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের খবর এখনো কাশ্মীরের অনেকে জানেন না। যারা জানতে পেরেছেন তাদের মধ্য থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে।  

তাছাড়া, কাশ্মীরের নেতাদের গৃহবন্দী হওয়ার কথাও সাংবাদিকরা ছাড়া খুব কম লোকই জানেন।

কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি করে বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েনের পর সোমবার ভারত সরকার ওই রাজ্যটির জন্য সংবিধানে থাকা বিশেষ সুবিধার ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেয়। এই অনুচ্ছেদের সুবাদেই ভারতশাসিত কাশ্মীর নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতাও পেয়েছিল। এমনকি সেখানে সরকারি চাকরি, জমি কেনা, ব্যবসা করার অধিকার কেবল কাশ্মীরিদেরই ছিল। কিন্তু অনুচ্ছেদটি বাতিলের ফলে আলাদা সংবিধান ও পতাকা হারানোর পাশাপাশি কাশ্মীরিরা সরকারি চাকরি, জমি কেনা ও ব্যবসা করার ক্ষেত্রে একক অধিকারও হারিয়েছে।

ব্রিটিশরা উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এই বিশেষ সুবিধার বিষয়টি শর্ত হিসেবে ধরেই তখনকার কাশ্মীরের শাসকরা ভারতে যোগ দিতে সায় দেয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপির নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলোর একটিই ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার রাজ্য কাশ্মীরের এই সুবিধা বাতিল করে অন্য রাজ্যগুলোর মতোই সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন বলবৎ করা।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।