বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫এ ধারা জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ, পরিবারবাদ ছাড়া আর কিছু হয়নি।
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদী বলেন, আমাদের দেশের কোনো সরকার, কোনো দলের সরকার বা জোটের সরকার এই কাজ করেনি। আইন তৈরির সময় সংসদে অনেক আলোচনা, বিতর্ক হয়। এরপর সবার মতামতের ভিত্তিতে যে আইন তৈরি হয়, তা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই তৈরি হয়।
‘আশা করছি এটি-ই মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে। জম্মু ও কাশ্মীরে যে আইন ছিল তা দেশের একটি অংশে কার্যকরীই হতো না। দেড় কোটির মতো মানুষ সেই কল্যাণ, সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিতই থেকে যেত। সংরক্ষণের নিয়ম জম্মু-কাশ্মীরে কার্যকর হত না, সেখানকার মানুষ এর সুবিধা পেতেন না। ’
মোদী বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে একটা কথা বলতে চাই, আপনাদের দ্বারাই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। আমার পুরো বিশ্বাস, এই নতুন ব্যবস্থায় আমরা সবাই মিলে জম্মু-কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করবো। আমি মনে করি না, দীর্ঘদিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে চালু রাখার প্রয়োজন হবে।
‘জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, আপনাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার আপনাদের খুব শিগগির প্রতিষ্ঠিত হবে। । ’
তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে সেরা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করতে হবে। একটা সময় ছিল, সিনেমার শুটিংয়ের জন্য জম্মু-কাশ্মীরই ছিল অন্যতম গন্তব্য। কিন্তু অস্থিরতার কারণে তা বন্ধ ছিল।
‘বলিউড, তেলুগু, তামিল সিনেমার লোকজনকে আহ্বান জানাবো- ফের উপত্যকায় শুটিংয়ে আসতে। এবার নতুন ব্যবস্থাপনায় সেই অবস্থা আবার ফিরে আসবে। ’
তিনি বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের যুব সম্প্রদায় অনেক এগিয়ে যাবে। খেলাধুলোর প্রভূত উন্নতি হবে, সারা বিশ্বে তাদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে।
খেলার দুনিয়ায় কাশ্মীরের তরুণেরা দেশের মান আরও উন্নয়ন বাড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন নরেন্দ্র মোদী।
গত ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের বিল পাস হয়েছে। তার আগের দিন অর্থাৎ ৪ আগস্ট রাত থেকে জম্মু-কাশ্মীরে এখনও প্রায় সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
ইন্টারনেট, মোবাইল, টেলিফোন লাইন পরিষেবা- প্রায় সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। সেখানকার মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এরই মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ফলে রাজ্যের মর্যাদা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। কাশ্মীর ভেঙে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমএ/