জানা গেছে, ঝিজাং প্রদেশের ওনঝু মিউনিসিপ্যালিটিতে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকাটি ঝড়ের গতিপথে থাকায় শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাতভর বর্ষণ চলে।
সুপার টাইফুন ‘লেকিমা’ স্থানীয় সময় শনিবার (১০ আগস্ট) দিনের শুরুতে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। এতে প্রবল মৌসুমি বৃষ্টির সঙ্গে অনেক এলাকা এরইমধ্যে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে হাজার হাজার গাছপালা, ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ।
শক্তিশালী ঝড়টি ঘণ্টায় ১৮৭ কিলোমিটার বেগে ওয়েনলিং শহরে আঘাত হানে, যা সাংহাই হয়ে পূর্ব উপকূল দিয়ে এগিয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে সাংহাইতে আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের আনহুই, ফুজিয়ান, জিংসু, ঝিজাংয়ে বন্যা, ভূমিধসের সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
এর আগে সামুদ্রিক ঝড়টির ভয়াবহতা বিবেচনায় সর্তকর্তা হিসেবে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে কর্তৃপক্ষ। বাতিল করা হয় কয়েকশ ফ্লাইট, বিভিন্ন গন্তব্যের দ্রুতগতির ট্রেনও চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত সেপ্টেম্বরে টাইফুন ‘মাংকুত’র আঘাত থেকে রক্ষায় ২০ লাখ লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেয় চীন। তবে তার আগে ঝড়টি হংকং, ম্যাকাওয়ে ব্যাপক তাণ্ডবে চালিয়ে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যু ঘটায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
জেডএস