মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জন্য কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হন।
পুলিশের দাবি, মুসল্লিরা এক নিরাপত্তাকর্মীর দিকে পাথর ও চেয়ার ছুড়তে শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
আল আকসা মসজিদ মুসলমানদের মতো ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান। তারা এটিকে টেম্পল মাউন্ট বলে থাকে। তবে, চুক্তি মোতাবেক সেখানে শুধু মুসলমানদেরই প্রার্থনা করার অনুমতি রয়েছে। ইহুদিরা শুধু পরিদর্শনে যেতে পারেন।
রোববার (১১ আগস্ট) খবর ছড়ায়, এদিন কয়েকজন ইহুদিকে মসজিদটিতে প্রার্থনা করতে দেওয়া হবে। এতে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলমানরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে ইসরায়েলি পুলিশ।
পরে, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে ভেতরে থাকা ইহুদিদের পুলিশি পাহারায় বের করে নেওয়া হয়।
রেড ক্রিসেন্টের তথ্যমতে, এ ঘটনায় অন্তত ৩৭ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের চার পুলিশ সদস্যও আঘাত পেয়েছেন।
এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে ইসরায়েল উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রবীণ রাজনীতিবিদ হানান আশরাউই।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ঈদের দিন সকালে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা ইসরায়েলি বাহিনীর বেপরোয়া ও আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিচয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
একে