রোববার (১১ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের জেরে গত রোববার (৪ আগস্ট) থেকেই মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রাখে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন> কী আছে জম্মু-কাশ্মীরের সেই ৩৭০ ধারায়
সপ্তাহখানেক অবরুদ্ধ থাকার পর গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। আর প্রথমবার সুযোগ পেয়েই এদিন সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন ক্ষুব্ধ কাশ্মীরবাসী। সকালের দিকে লোকজন কিছুটা কম থাকলেও জুমার নামাজের পর সড়কে রীতিমতো ঢল নামে তাদের।
রয়টার্সের তথ্যমতে, এদিন কাশ্মীরের সড়কে বিক্ষোভ করেছে অন্তত দশ হাজার মানুষ। এসময় স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছোড়ে নিরাপত্তাবাহিনী। জবাবে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন> ছেলেকে বলেছি, ঈদে বাড়ি এসো না: কাশ্মীরি মা
ঈদের দিন এ পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে আশঙ্কায় রোববার (১১ আগস্ট) সেখানে আবারও কারফিউ জারি করা হয়েছে। মাইকিং করে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। শহরটিতে বিক্ষোভের ঐতিহ্যবাহী জায়গা ওল্ড কোয়ার্টারে যাওয়ার পথসহ শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি সড়কে চেকপয়েন্ট বসিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন> ‘ঈদে কাশ্মীরবাসী পশুর বদলে কি নিজেদের কোরবানি দেবে?’
ঈদের দিন পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো হবে তা নিয়ে রোববার (১১ আগস্ট) রাতে কাশ্মীরের ১০টি জেলার শীর্ষ পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে জরুরি বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা।
তবে, এসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন> ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করলো পাকিস্তান
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
একে