সোমবার (১২ আগস্ট) প্রকাশিত ‘পাবলিক চার্জ রুল’ নামে এ বিধি আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। এটি চালু হলে দেশটিতে বসবাসকারী লাখ লাখ অভিবাসীর ‘গ্রিন কার্ড’ পাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই কম মজুরিতে চাকরি করেন, চাহিদা পূরণে তারা অনেকাংশেই সরকারি সেবার উপর নির্ভরশীল। নতুন নিয়মে তারা বড় বিপদেই পড়বেন। একই কারণে দরিদ্র ও অদক্ষ মানুষদের জন্যেও বন্ধ হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার পথ।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকান নাগরিকদের সুবিধা রক্ষার্থে অভিবাসীদের অবশ্যই স্বাবলম্বী হতে হবে।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক অ-নাগরিক ও তাদের পরিবার আমাদের মহৎ জনসেবার সুবিধা নিচ্ছে। অন্যথায় এ সম্পদ দুর্বল আমেরিকানদের কাছে যেতো।
যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন, এ ঘোষণায় তাদের কোনো সমস্যা হবে না। একই সঙ্গে শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীরাও এর আওতার বাইরে থাকবেন।
কিন্তু, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি, গ্রিন কার্ড বা মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।
যাদের আয় যথেষ্ট পরিমাণ নয়, যারা মেডিকএইডের (সরকারি স্বাস্থ্যসেবা) মতো সরকারি সেবার উপর নির্ভরশীল, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
যারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, কিন্তু এখনো নাগরিকত্ব পাননি, তারাও যদি এ ধরনের সরকারি সেবা আরও নেন, তাহলে গ্রিন কার্ডের আশা ছেড়ে দিতে হবে তাদের।
এ আদেশে অন্তত ২ কোটি ২০ লাখ বৈধ বাসিন্দা, যাদের নাগরিকত্ব নেই, তারা ক্ষতির শিকার হবেন।
নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো বলেছে, এ আদেশে স্বল্প আয়ের অভিবাসীদের অন্যায়ভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় অভিবাসন আইন কেন্দ্র (এনআইএলসি) জানিয়েছে, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের এ আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
একে