মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বার্তা সংস্থা আইএএনএসের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন জানিয়েছে, জেল সুপার ইউকে মিশ্র, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভিকে সিং ও সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ মুনিরাজ জি ইতোমধ্যে কারা কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন> পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিমন্ত্রণ বাতিল করছে কাশ্মীরিরা!
জেল সুপার বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল স্থানীয় কয়েদিদের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ (বিচ্ছিন্ন অংশ) থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে।
তবে, নতুন কয়েদি কারা, তা জানতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। গত শনিবার (১০ আগস্ট) জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২০ জন কয়েদিকে বারেলি জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন> ছেলেকে বলেছি, ঈদে বাড়ি এসো না: কাশ্মীরি মা
তাদের স্থানান্তরের আগেই বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় কারাগারটি। পুরো কমপ্লেক্সে দুইশ’রও বেশি পিটিজেড (প্যান-টিল্ট-জুম) সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যামেরা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কাশ্মীরি কয়েদিদের ওপর নজর রাখতে আইসোলেশন সেলেও এ ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে বা বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলা নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন> ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করলো পাকিস্তান
কারা বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাশ্মীরি কয়েদিদের আগ্রায় কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বারেলি কারাগারকে অন্য কারণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মূলত কারাগারটির একটি ভবনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসহ অন্য কাঠামো রয়েছে। তাছাড়া, সেখানে কয়েদির সংখ্যাও ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক কম।
বারেলি জেলা কারাগারের ধারণক্ষমতা চার হাজার হলেও, সেখানে বর্তমানে ২ হাজার ৭শ’ ১৮ জন কয়েদি রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ভারতশাসিত কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে বাতিল করা হয় ৩৫-ক অনুচ্ছেদও। এ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে জমিক্রয় ও চাকরির অধিকার শুধু স্থানীয়দের জন্যই নির্ধারিত ছিল।
নতুন এ বিলের মাধ্যমে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে কাশ্মীরকে। সেটি এখন থেকে আর বিশেষ রাজ্য বলে বিবেচিত হবে না। এর বদলে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত এলাকা হিসেবে পরিচালিত হবে। এ দু’টি এলাকায় আলাদা বিধানসভা থাকলেও লাদাখে কোনো বিধানসভা থাকবে না।
আরও পড়ুন> ‘ঈদে কাশ্মীরবাসী পশুর বদলে কি নিজেদের কোরবানি দেবে?’
এ ঘোষণার আগের দিন থেকেই কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় কাশ্মীর উপত্যকায়। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় মোবাইল, টেলিফোন, ইন্টারনেট সেবা। বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয় চল্লিশ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য। জারি করা হয়েছে কারফিউ।
এ পর্যন্ত অঞ্চলটির অন্তত তিন শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতা।
আরও পড়ুন> কী আছে জম্মু-কাশ্মীরের সেই ৩৭০ ধারায়
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
একে