মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দ্বিতীয়দিনের মতো বিমানবন্দরটির সব ফ্লাইট বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে বড় ধরনের দুর্ভোগে পড়েছেন আগে নির্ধারিত টিকিটের যাত্রীরা।
হংকং নগরীর নেতা কেরি ল্যাম বলেছেন, গণতন্ত্রকামী চলমান বিক্ষোভের অস্থিতিশীলতা, বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা শহরটিকে একটি বিপদের পথে নিয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, গত পাঁচদিন ধরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বন্দরটির মূল টার্মিনালে ভিড় করলে; পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সোমবার (১২ আগস্ট) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০ এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করে দেয়।
তুমুল আন্দোলনের মুখে সোমবার প্রথম বিমানবন্দরটির সব ফ্লাইট বাতিল করে কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে বলেছিল, অব্যাহত বিক্ষোভের কারণে বিমানবন্দরের কাজ অনেক বেশি ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যে চেক-ইন সম্পন্ন হয়েছে, এমন ছাড়া সব ফ্লাইট স্থগিত করা হচ্ছে। এসময় যাত্রীদের বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার (০৯ আগস্ট) চীন শাসনে থাকা হংকংয়ের বিমানবন্দরে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বিদেশি অতিথিদের অঞ্চলটির চলমান পরিস্থিতি জানাতে তারা বিমানবন্দরের মূল টার্মিনালে অবস্থান নেন। তবে বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে তারা কোনো বাধা দেননি বলে জানা যায়।
অপরাধী প্রত্যর্পণ আইন অনুযায়ী চীন যদি চায় সন্দেহভাজন অপরাধীদের নিজ ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। আইনে বলা হয়েছে, বেইজিং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান থেকে পালিয়ে আসা কোনো অপরাধীকে ফেরত চাইলে তাকে ফেরত দিতে হবে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হংকংয়ের এক তরুণ তাইওয়ানে এক নারীকে হত্যা করে হংকংয়ে চলে আসেন পালিয়ে। তখন তরুণকে বিচারের মুখোমুখি করতে তাইওয়ান ফেরত চাইলে হংকং আইনি জটিলতার কথা বলে। এ প্রেক্ষাপটে প্রত্যর্পণ আইনটি হংকংয়ের নিজস্ব আইনে প্রণীত করার প্রস্তাব আসে।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকং ১৯৭৭ সালে চীনের অধীনে ফেরার পর থেকে ‘এক রাষ্ট্র দুই নীতি’র অধীনে পরিচালিত। যদিও গত দুই দশক ধরে নানা ইস্যুতে চীনা সরকারের সঙ্গে কড়াকড়ি চলছে অঞ্চলটির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
টিএ