বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নাইসটাউন-টিয়াগো অঞ্চলে ওই বন্দুকযুদ্ধের সূচনা হয় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদক সংক্রান্ত পরোয়ানা নিয়ে একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে ওই বন্দুকধারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে।
পুলিশ জানায়, এরই মধ্যে ওই বাড়ি থেকে জিম্মি দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও আরও কয়েক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে সোয়াট বাহিনী। সে সময় সোয়াটের গাড়িতেও গুলি চালান ওই ব্যক্তি। উদ্ধার অভিযানের আগ পর্যন্ত ‘জিম্মি সংকটের’ আশঙ্কা করছিলেন পুলিশ কমিশনার রিচার্ড রস।
এক সংবাদ সম্মেলনে রস বলেন, মূলত তল্লাশি অভিযানকালে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আটকে রাখতে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যরা জিম্মি দশায় পড়েন। এখন পর্যন্ত ওই বন্দুকধারীর আত্মসমর্পণের কোনো লক্ষণ নেই। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি যে, তিনি জীবিত। কেননা মাঝে মাঝেই গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
পুলিশ সার্জেন্ট এরিক গ্রিপ বলেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত ওই বন্দুকধারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাকে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হচ্ছে।
আহত ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আহত এ পুলিশ সদস্যদের অনেকেই ওই বাড়ির দরজা, জানালা দিয়ে পালিয়ে নিজেদের বাঁচান। সে সময়ও ওই ব্যক্তি তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করছিলেন বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
এরই মাঝে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ সংঘর্ষের ব্যাপারে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
এইচজে