লন্ডনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিংয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ কথা জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়ে লিউ জিয়াওমিং বলেছেন, হংকং পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তা নিয়ন্ত্রণে চীন নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগাবে।
কিছু বিক্ষোভকারীর মধ্যে ‘সন্ত্রাসের লক্ষণ’ দেখা গেছে এমন অভিযোগ তুলে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ পরিস্থিতিতে কেবল হাত গুঁটিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায় বসে থাকবে না।
আধাস্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের সংবিধানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, দ্রুত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দমনে আইনগতভাবেই আমাদের হাতে যথেষ্ঠ ক্ষমতা রয়েছে। কেবলমাত্র কিছু সহিংস অপরাধী হংকংকে রসাতলে নিয়ে যাবে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার তা হতে দেবে না। সংবিধান অনুসারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে হংকং সরকার যে কোনো সময় কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইতে পারে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত চীনা ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসও হংকং ইস্যুতে চীন চাইলে ‘জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ’ করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। চলমান বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নাক গলানোরও’ তীব্র সমালোচনা করা হয় সেখানে।
পত্রিকাটিতে বলা হয়, হংকং যদি নিজের থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারে ও দাঙ্গা আরও তীব্র আকার নেয়, তাহলে মৌলিক আইনের আওতায় থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার এতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। সম্প্রতি হংকং সীমান্তসংলগ্ন শেনজেন স্টেডিয়ামে শত শত আধা সামরিক পুলিশ (পিএপি) মোতায়েনের ঘটনাকে এ ব্যাপারে কেন্দ্রের ‘স্পষ্ট হুঁশিয়ারি’ হিসেবে উল্লেখ করে পত্রিকাটি।
এরই মধ্যে রোববার (১৮ আগস্ট) হংকংয়ের মানবাধিকার সংগঠন দ্য সিভিল হিউম্যান রাইটস এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে।
সব মিলিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
এইচজে