শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য দেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা বেড়ে যাওয়া এবং হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে চীনা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে নিজেরা সমালোচনার মুখে পড়ে সম্ভাব্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তাইওয়ানকে নতুন এই অস্ত্রসম্ভার দেওয়া; অঞ্চলটিতে বেশ কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিক্রি। একইসঙ্গে তাইওয়ান দ্বীপটি বেইজিং শাসিত হওয়ায় এই অস্ত্র দেওয়ার কারণে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে। এছাড়া বেইজিং স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে চীনের অংশ হিসেবেই দেখে। চীনের প্রদেশ হিসেবে তাইওয়ান প্রশাসিত।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মার্কিন কংগ্রেসকে সম্ভাব্য এ বিক্রয় সম্পর্কে অনানুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছিল বলে জানান প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যরা।
এখন অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটি এবং হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটি দ্বারা পর্যালোচনা ও অনুমোদিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এ নিয়ে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছেন, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রয় চীনের সার্বভৌমত্ব এবং মূল স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করে।
চীন এর ‘তীব্র বিরোধিতা’ করে জানিয়ে হুয়া চুনিং এও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ‘এফ-১৬ভি’ যুদ্ধবিমান বিক্রি থেকে বিরত থাকবে। একইসঙ্গে তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বন্ধ করবে বলে আমরা দাবি করছি।
চীনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমুদ্রের একটি দ্বীপ। এক সময় ওলন্দাজ কলোনি ছিল। তবে ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের রাজারাই শাসন করেছে তাইওয়ান। এরপর জাপানিরা নিয়ে নেয় এই দ্বীপ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ পায় চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন চীনা সরকার।
২০০০ সালে তাইওয়ানের নুতন প্রেসিডেন্ট হন চেন শুই বিয়ান। ২০০৪ সালে তিনি ঘোষণা দেন- তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। মূলত এরপর থেকে চীনের সঙ্গে দ্বীপাঞ্চলটির দ্বন্দ্ব লেগে আছে। তারা বহির্বিশ্বের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
টিএ